বালিশ-পর্দাকাণ্ডকে ‘ছিঁচকে কাজ’ (সামান্য জিনিস চুরি) বলে আখ্যায়িত করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এ ধরনের ছিঁচকে কাজগুলো যারা করছেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তারা সংসদ সদস্য বা সংশ্লিষ্ট কোনো মন্ত্রী নন।
রুপপুর পারমাণবিক কেন্দ্রে বালিশকাণ্ড ও ফরিদপুর মেডিকেলে পর্দাকাণ্ড নিয়ে শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ধানমন্ডিতে সাংবাদিকদের প্রশ্নে সেতুমন্ত্রী এ কথা বলেন।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে দলের যুগ্ম সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের সঙ্গে সাধারণ সম্পাদকের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেনে তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বালিশ-পর্দাকাণ্ডের সঙ্গে বিএনপি আমলের হাওয়া ভবনের লুটপাটকে মেলালে হবে না। এখানে (বালিশ-পর্দাকাণ্ড) হাওয়া ভবনের মতো লুটপাটের বিষয় নেই। যারা এমন অভিযোগ করছেন তারা তো দেশটাকেই লুটপাট করে খেয়েছেন। এখন সরকারের বিকল্প কোনো সেন্টার নেই, লুটপাটের কোনো ভবন নেই।
জাতীয় পার্টিতে চলমান দ্বন্দ্ব নিয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এক সময় জাতীয় পার্টি আমাদের সঙ্গে জোটে ছিল। তাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি জোট থাকলেও আদর্শিক ঐক্য নেই। এখন তারা বিরোধী দল। আমরা চাই তারা বিরোধী দল হিসেবে শক্তিশালী থাকুক। তারা নিজেরা দ্বন্দ্বে জড়িয়ে দুর্বল হয়ে গেলে আমাদের কিছু করার থাকে না।
সম্প্রতি পুলিশের ওপর একাধিক হামলা নিয়ে তিনি বলেন, জঙ্গি তৎপরতা একেবারে থেমে গেছে এমন দাবি কখনো করব না। ছোটখাট যে ঘটনাগুলো ঘটছে, সেগুলো বিচ্ছিন্ন-বিক্ষিপ্ত। ওরা হয়তো বড় ধরনের কোনো ঘটনা ঘটানোর জন্য টেস্ট কেস করছে। আশঙ্কা করছি ওরা বড় ধরনের কোনো প্রস্তুতি নিচ্ছে, আমরা সতর্ক রয়েছি।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, এনামুল হক শামীম, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বি এম মোজাম্মেল হক, উপদফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ সভায় উপস্থিত ছিলেন।