টাইগার শ্রফ বেশ জনপ্রিয় কিন্তু স্বল্পভাষী। সঙ্গে মৃদুভাষী ও ইন্ট্রোভার্ট। বর্তমানে বলিউডের জনপ্রিয় অ্যাকশন তারকা বতিনি। জনপ্রিয় বলিউড তারকার ছেলে শুনলেই মনে হয় মুখে ‘সোনার চামচ ‘ নিয়ে জন্মানো এবং প্রায় সেভাবেই বাকি জীবনটা পায়ের ওপর পা তুলে কাটানোর মতো সমস্ত আয়োজন করাই রয়েছে।
কিন্তু টাইগার শ্রফের জীবনটা সেরকম ভাবলে ভুল হবে বৈকি। ২০০৩ সালে তার বয়স যখন এগারো বছর তখন বুম সিনেমাটি মুক্তি পায়। এতে অভিনয় করেন অমিতাভ বচ্চন ও ক্যাটরিনা কাইফ। এটি প্রযোজনা করেন টাইগারের মা আয়েশা শ্রফ। কিন্তু আগেই ফাঁস হওয়ায় মুক্তির পর বক্স অফিসে মুখ থুবরে পড়ে সিনেমাটি। পাশাপাশি তাদের পরিবারে দেখা দেয় আর্থিক সংকট।
সম্প্রতি, এক সাক্ষাৎকারে বড় হওয়ার সময়ে সকলের গোপনে বাড়ির ভেতরে চরম দারিদ্র্যতার সঙ্গে শ্রফ পরিবারের লড়াইয়ের কথা তুলে ধরলেন টাইগার।
১১ বছর বয়সেই দারিদ্রতা হঠাৎই থাবা বসিয়েছিল শ্রফ পরিবারে। কোনও নোটিশ না দিয়েই। আসলে সেই সালে কাইজাদ ওস্তাদের ‘ বুম ‘ ছবিটি প্রযোজনা করেছিলেন টাইগারের মা অনিতা শ্রফ। বলাই বাহুল্য সঙ্গে ছিলেন বাবা জ্যাকি শ্রফও। ছবিতে অমিতাভ বচ্চন এবং পদ্মালক্ষীর মতো আন্তর্জাতিক সুপারমডেল থাকা সত্ত্বেও বিগ বাজেটের এই ছবি সশব্দে মুখ থুবড়ে পড়ে বক্স অফিসে। যার মাশুল গুনতে হয় শ্রফ পরিবারকে।
টাইগারের বলেন, ‘ সেই সময় বাড়ির একের পর এক দামি দামি আসবাবপত্র বিক্রি হয়ে যাচ্ছে ধীরে ধীরে। ফাঁকা হতে থাকতো ঘর। শেষপর্যন্ত এমন একটা দিন এসেছিল যেদিন আমার খাটটা পর্যন্ত বিক্রি করে দিতে হয়েছিল। কারণ উপায় ছিল না। মেঝেতে শুয়ে কাটিয়েছি দিনের পর দিন। আমাদের জীবনের সবথেকে খারাপ সময় ছিল সেটা !’
এরপরেই টাইগার জানান কীভাবে এই ঘটনার স্মৃতি তাঁকে পরবর্তীকালে তাঁর ক্যারিয়ারে সাহায্য করেছিল। সফল হওয়ার আগ্রহ বাড়িয়ে দিয়েছিল। ধীরে ধীরে অ্যাকশন হিরো থেকে ‘ বাগী ‘ হয়ে উঠতে সাহায্য করেছে। টাইগার অভিনীত সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা স্টুডেন্ট অব দি ইয়ার-টু। বর্তমানে বাঘি-থ্রি সিনেমার শুটিং করছেন তিনি। এছাড়া মুক্তির অপেক্ষায় এ অভিনেতার ওয়ার সিনেমাটি।