সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য ২০/৩০ শতাংশ হারে বাড়ছে

সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে বাণিজ্য ২০/৩০ শতাংশ হারে বাড়ছে

সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য বিগত বছরগুলোর তুলনায় ২০ থেকে ৩০ শতাংশ হারে বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন সুইস ডেপুটি হেড অব মিশন গ্যাবরিয়েল ডেরিগহেট্টি।

রোববার চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কার্যালয়ে গ্যাবরিয়েল ডেরিগহেট্টি চেম্বার নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ তথ্য জানান।

চট্টগ্রামকে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্যের গুরুত্বপূর্ণস্থান উল্লেখ করে গ্যাবরিয়েল ডেরিগহেট্টি বলেন, এ অঞ্চলের সম্ভাবনাময় খাতের ব্যাপারে সুইস উদ্যোক্তারা ক্রমেই আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

সুইজারল্যান্ডে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের ৯০ শতাংশ তৈরি পোশাকসামগ্রীর উল্লেখ করে তিনি এ ক্ষেত্রে পণ্য বহুমুখীকরণের পাশাপাশি অবকাঠামো ও বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

মতবিনিময় সভায় সিদ্ধান্ত হয় চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এবং সুইস দূতাবাস আগামী অক্টোবরে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যকার বাণিজ্যিক, কূটনৈতিক ও দ্বিপক্ষীয়  সম্পর্কোন্নয়নের ৪০ বছর উদযাপন করবে।

সভায় চেম্বার সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম, জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম, পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ, মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী, মোরশেদ আরিফ চৌধুরী ও দূতাবাসের রিসার্চ অ্যান্ড কমিউনিকেশন কর্মকর্তা খালেদ ইকবাল চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।

চেম্বার সভাপতি মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম সুইজারল্যান্ডকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের গুরুত্বপূর্ণ সহযোগী উল্লেখ করে বলেন, ২০১১ সালে উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৩৩৭ মিলিয়ন ডলার।

চেম্বার সভাপতি সুইজারল্যান্ডের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের সাফল্যের প্রশংসা করে বাংলাদেশেও এ খাতের বিকাশ ও উন্নয়নে সুইস সরকারের কারিগরি সহযোগিতা কামনা করেন।

মোরশেদ মুরাদ ইব্রাহিম দেশের মানবসম্পদ উন্নয়নে সুইস এজেন্সি ফর ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড কো-অপারেশনের (এসডিসি) মাধ্যমে অধিকতর আর্থিক সহায়তা দেওয়ার আহ্বান জানান।

তিনি পারস্পরিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে যৌথভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন এবং এ ক্ষেত্রে উভয় দেশের উদ্যোক্তাদের মধ্যে বাণিজ্যিক লিংকেজ স্থাপন জরুরি বলে মন্তব্য করেন।

জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি মাহবুবুল আলম ব্যবসায়ী সমাজের কল্যাণ ও দেশি-বিদেশি বাণিজ্য সম্প্রসারণে চিটাগাং চেম্বার নির্মিত দেশের একমাত্র ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টার সম্পর্কে সফরকারী অতিথিকে অবহিত করেন।

তিনি টেক্সটাইল, জাহাজ নির্মাণ, সিরামিকস, ওষুধ, পর্যটন ও কৃষি খাতে একক বা যৌথ সুইস বিনিয়োগ প্রত্যাশা করেন।

চেম্বার পরিচালক মাহফুজুল হক শাহ দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে দেশের বিভিন্ন বিকশিত খাতে সুইস প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সহায়তা কামনা কারেন।

মোহাম্মদ এমদাদুল হক চৌধুরী বাংলাদেশ থেকে আরও বেশি পরিমাণে তৈরি পোশাক আমদানি করতে দূতাবাস কর্মকর্তার ব্যক্তিগত উদ্যোগ প্রত্যাশা করেন।

অর্থ বাণিজ্য