মার্কিন সংগীতশিল্পী আরিয়ানা গ্রান্ডে মামলা ঠুকেছেন। ‘ফরএভার টুয়েন্টি ওয়ান’ আর ‘রাইলি রোজ ফ্যাশন’ ব্র্যান্ডের বিরুদ্ধে। প্রতিষ্ঠান দুটি নাকি তাঁর নাম, খ্যাতি আর ইমেজ ক্ষুণ্ন করেছে। প্রতিষ্ঠান দুটি অন্য মডেলকে আরিয়ানা গ্রান্ডের মতো সাজিয়ে নিজেদের পণ্যের বিজ্ঞাপনের ফটোশুট করেছে। শুধু তা-ই নয়, বছরের শুরুতে সেই ছবি ব্যবহার করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারণাও চালিয়েছে। তা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা হয়েছে।
নিউজ এইটিনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানহানির সেই মামলায় আরিয়ানা ‘ফরএভার টুয়েন্টি ওয়ান’-এর কাছে ১ কোটি মার্কিন ডলার বা ৮৪ কোটি ২৩ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেন। ফলোয়ারের দিক থেকেও আরিয়ানা গ্রান্ডে ছাড়িয়ে গেছেন অনেক বড় তারকাকে। ইনস্টাগ্রামে ১৬ কোটি ৩০ লাখ মানুষ গ্র্যামিজয়ী এই শিল্পীকে ‘ফলো’ করেন। আর টুইটারে সেই সংখ্যা সাড়ে ৬ কোটি। ২৬ বছর বয়সী এই তারকার বিশালসংখ্যক ভক্তই ‘ফরএভার টুয়েন্টি ওয়ান’ আর ‘রাইলি রোজ’-এর ক্রেতা।
আরিয়ানা গ্রান্ডের অভিযোগ, দুটি প্রতিষ্ঠান মিলে তাঁর মতো চেহারার মডেলকে তাঁর মতো করে সাজিয়ে বিভিন্ন পণ্য পরিয়েছে। তারপর তার ছবি তুলেছে, ভিডিও করেছে। কমপক্ষে ৩০টি ছবি ও ভিডিও ব্যবহার করেছে সেই প্রচারণায়। এমনকি সেই অডিও আর ভিডিওর সঙ্গে আবার আরিয়ানার সম্প্রতি মুক্তি পাওয়া ‘সেভেন রিংস’ গানের অডিও ও লিরিক ব্যবহার করেছে। ওই অডিও আর ভিডিওগুলো ‘ভৌতিক’ বলেছেন আরিয়ানা। আরিয়ানার আইনজীবী লস অ্যাঞ্জেলসের আদালতে মানহানি, কপিরাইট ও প্রচারণার অধিকার ভঙ্গের মামলা করেছেন।
এই মামলা নিয়ে ‘ফরএভার টুয়েন্টিওয়ান’-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা চলমান মামলা নিয়ে মন্তব্য করি না। আমরা আরিয়ানা গ্রান্ডের দারুণ ভক্ত। তাঁর লাইসেন্সিং কোম্পানির সঙ্গে আমরা গত দুই বছর কাজ করেছি। আশা করছি, এসব ভুল-বোঝাবুঝি কাটিয়ে আমরা একটা সমঝোতায় পৌঁছাব। আর ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করব।’
অন্যদিকে রাইলি রোজকে মঙ্গলবারে মেইল পাঠানো হলেও তারা কোনো উত্তর দেয়নি।
ফরএভার টুয়েন্টি ওয়ান প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৮৪ সালে। বিশ্বের ৫৭টি দেশে এর ৮১৫টি শাখা আছে। ‘ফোর্বস’ ম্যাগাজিন অনুসারে, তাঁদের সম্পত্তির পরিমাণ ১২ হাজার ৬৩৪ কোটি টাকা। এই দুই প্রতিষ্ঠানের মালিকের দুই মেয়ে লিন্ডা এবং অ্যাস্টার চ্যাং ২০১৭ সালে রাইলি রোজ প্রতিষ্ঠা করেন।