আদনান সামিকে কে না চেনে! তিনি জন্মেছিলেন ইংল্যান্ডের লন্ডনে। সংগীতপ্রেমী মাত্রই জানেন, তিনি কত বড় শিল্পী। তিনি ভারতীয় ও পাশ্চাত্য—দুই ঘরানার গান গেয়েছেন। পিয়ানো বানানোতে তাঁর বিশেষ দক্ষতা আছে। বলা হয়, তিনি বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত কি-বোর্ডবাদক। টাইমস অব ইন্ডিয়া তাঁকে ‘সুলতান অব মিউজিক’ নামে অভিহিত করেছে। তাঁর পৈতৃক নিবাস পাকিস্তানের জম্মু-কাশ্মীরে হলেও তিনি ভারতের নাগরিক।
আদনান সামি অনেক দিন পর খবরের শিরোনাম হয়ে এলেন। তবে গানের জন্য নয়, ছেলের বক্তব্যের কারণে। আদনান সামি আর তাঁর প্রথম স্ত্রী, পাকিস্তানের অভিনয়শিল্পী জেবা বখতিয়ারের ছেলে আজান সামি খান বিবিসিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘ভারত নয়, তাঁর দেশ পাকিস্তান।’ তিনি বলেন, ‘যাঁর জন্য আগে কখনোই এই বিষয় নিয়ে মুখ খুলিনি, তিনি আমার বাবা। তাঁকে ভালোবাসি, সম্মান করি। তিনি নিজের দেশ হিসেবে ভারতকে বেছে নিয়েছেন। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে আমি সম্মান করি।’
এরপর আজান বলেন, ‘কিন্তু আমি কোন দেশকে আমার ঘর বলব, সেটা একান্তই আমার সিদ্ধান্ত। আর আমি পাকিস্তানকেই আমার ক্যারিয়ার গড়ার জন্য বেছে নিয়েছি। আর পাকিস্তানের একজন নাগরিক হিসেবে আমি গর্বিত।’ যদিও ভারতে আজানের অসংখ্য ভালো বন্ধু রয়েছে। তিনি জীবনের একটা বড় অংশ কাটিয়েছেন ভারতে। বিশেষ করে ছেলেবেলা। কিন্তু পাকিস্তানের ইন্ডাস্ট্রিকেই তিনি নিজের পরিবার বলে মনে করেন। তাঁর সুখ, আকাঙ্ক্ষা, স্বপ্ন—সব পাকিস্তানে।
বিবিসির ওই সাক্ষাৎকারে বাবা আদনান সামির রাজনৈতিক মতাদর্শ নিয়েও প্রশ্ন করা হয় আজান সামি খানকে। তবে উত্তর দিলেন কৌশলে। বললেন, ‘আমার বাবা আর আমার মধ্যে যে কথা হয়, তা বরং আমাদের মধ্যেই থাক। আমি মায়ের কাছে বড় হয়েছি। বাবা আর মায়ের একটা বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল, আছে। আমি কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে বাবার সঙ্গে পরামর্শ করি। মাসের পর মাস আমাদের কথা হয় না, তবে যখন আমরা আড্ডা দিই, ওই সব মনে থাকে না। আমরা একজন আরেকজনকে বুঝতে পারি। তবে আমার মনে হয়, সন্তান হিসেবে বাবার রাজনৈতিক মতাদর্শের বিষয়ে আমার কোনো মন্তব্য করা উচিত নয়।’