প্রথম আসর থেকেই বিপিএলের নানা অনিয়ম আর অব্যবস্থাপনা নিয়ে অভিযোগের সীমা ছিলো না ক্রিকেট ভক্ত ও ফ্র্যাঞ্চাইজিদের। দেখতে দেখতে ছয়টি আসর শেষ করে ফেললেও সপ্তম আসরেও অব্যবস্থাপনার অভিযোগ থেকে বের হতে পারেনি বিপিএল। সাকিবের দলবদলের পরেই আরেকটি সংঘাতপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেয় বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল। এরপরই বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজি হুমকি দেয় বিপিএল বর্জনের।
এরপর বিপিএলের ফ্র্যাঞ্চাইজিদের সাথে আলোচনায় বিপিএল নিয়ে যাবতীয় শঙ্কা কাটিয়ে ওঠার কথা বলা হয়। কিন্তু সেসব কিছুতে আজ পানি ঢেলে দিলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। আজ অর্থমন্ত্রনালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজক কমিটির সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এই কথা জানান অর্থমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বিপিএলের নিয়ম অনুযায়ী এক বছরে দুইবার বিপিএল হওয়ার সুযোগ নেই।’ তার এই কথায় বিপিএল হওয়া নিয়ে সবধরণের আলোচনা বন্ধ হয়ে গেলো।
এর আগে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের মালিক ও অর্থমন্ত্রী তনয়া নাফিসা কামাল বিপিএলকে লস প্রজেক্ট বলে আখ্যা দিয়ে বিপিএলে কুমিল্লার থাকার কথা পর্যালোচনা করবেন বলে জানান।
অপরদিকে সাকিবের দল বদলের পরে নেয়া বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সিদ্ধান্তকে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ করে টুর্নামেন্ট বর্জনের হুমকি দেয় রংপুর রাইডার্স। এখন পর্যন্ত চট্টগ্রাম ভাইকিংসের ফ্র্যাঞ্চাইজি হিসেবে কাউকে পায়নি বিপিএল কমিটি।
একটি টুর্নামেন্ট ৬টি আসর পার করলেও তার নিয়ম-নীতি ঠিক করতে পারেনি বিপিএল কমিটি বা বিসিবি। এরকম টুর্নামেন্ট আদতে দেশের ক্রিকেট উন্নয়নে কতটুকু কাজে লাগবে তা নিয়ে শঙ্কা দর্শক ও শুভানুধ্যায়ীদের।