ইয়েমেনে রেডক্রসের প্রতিনিধি দলের আন্তর্জাতিক কমিটির প্রধান ফ্রাঞ্জ রাউচেনস্টেইনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, সেখানে শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলেই তিনি বিশ্বাস করেন।
হামলার পর কারাগার কমপ্লেক্স এবং হাসপাতালগুলো পরিদর্শন করে রাউচেনস্টাইন বলেন, ‘সেখানে তিনটি ভবন বিধ্বস্ত হয়েছে এবং যে বিল্ডিংয়ে আটক ব্যক্তিরা ছিল সেটিও। যাদের বেশিরভাগই মারা গেছেন।’
এদিকে ইউসুফ আল-হাদ্রি নামে হুথিদের একজন মুখপাত্র বলেছেন, বন্দিশালা হিসেবে ব্যবহৃত একটি কমপ্লেক্সে রবিবারের ওই বিমান হামলায় কমপক্ষে ৬০ জন নিহত হয়েছেন।
এতে আরও ৫০ জন আহত হয়েছেন উল্লেখ করে বিদ্রোহীদের দ্বারা পরিচালিত আল মাসিরাহ টিভিকে তিনি বলেন, ১৮৫ জনের মত যুদ্ধবন্দি ছিল ধামার কমিউনিটি কলেজের এ কমপ্লেক্সে।
আহতদের মধ্যে ছিলেন নাজম সালেহ নামে এক যুবকও। তিনি সংবাদ সংস্থা এপিকে বলেছেন, ‘আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম এবং মধ্যরাতের দিকে প্রায় তিন, চার অথবা ছয়টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটে।’
স্থানীয় একটি হাসপাতালের স্ট্রেচারে চড়া অবস্থায় তিনি বলছিলেন, ‘তারা কারাগারকেই লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করেছিল, তবে আমি আসলে বোমার প্রকৃত সংখ্যাটা জানি না … আমরা নিচ তলায় ১০০ জন বন্দী ছিলাম এবং উপরের তলায় ছিল প্রায় ১৫০ জনের মতো।’
এর আগে, হুথিদের মুখপাত্র মোহাম্মদ আবদুল সালাম একটি টুইটার পোস্টে বলেছিলেন, নিহতের সংখ্যা ৫০ জন ছাড়িয়েছে এবং শতাধিক আহত হয়েছে।
বিষয়টি স্বীকার করে সৌদি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে জোটটি বলেছে, তারা ধামারে হুথি সামরিক লক্ষ্যবস্তুতে বিমান হামলা চালিয়েছে এবং ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র সংরক্ষণকারী একটি সাইট ধ্বংস করে দিয়েছে