যে সৈকতে একসঙ্গে উল্লাসে মাতে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা

যে সৈকতে একসঙ্গে উল্লাসে মাতে ইসরায়েলি ও ফিলিস্তিনিরা

বাঘ-বকরি এক ঘাটে জল খাওয়ার কথা শোনা যায়। কিন্তু বাস্তবে সেই দৃশ্য চোখে পড়ে না। একইভাবে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বরতার দৃশ্যই দেখে এসেছে বিশ্ববাসী।

এবার সেই ইসরায়েলের জনগণ আর ফিলিস্তিনের বাসিন্দাদের একসঙ্গে সৈকতে আনন্দে মেতে উঠতে দেখা গেল। অবশ্য গত চার বছর ধরে এভাবে সৈকতে আনন্দে মেতে উঠছে বৈরিভাবাপন্ন দুই দেশের বাসিন্দারা।

জানা গেছে, রবি বর্মনের হাত ধরে দুই দেশের বাসিন্দারা বছরে একদিন একসঙ্গে জলকেলি করার সুযোগ পাচ্ছেন। তিনিই দুই দেশের বাসিন্দাদের একস্থানে নিয়ে আসার কাজ করছেন।

ফিলিস্তিদের আধঘণ্টার দূরত্বে ওই সমুদ্র সৈকত হলেও সেখানে তারা যেতে পারেন না। কারণ, সেখানে যেতে হলে ইসরায়েলের অনুমোদনসহ নানা রকম ঝক্কি-ঝামেলা রয়েছে।

রবি বর্মন চেষ্টা করছেন, ফিলিস্তিনিদের সেখানে নিয়ে এসে ইসরায়েলিদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানোর সুযোগ দেওয়ার। যেন দুই দেশের বাসিন্দার মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ একটা সম্পর্ক তৈরি হয়।

জানা গেছে, যারা সেখানে গেছেন, তাদের অনেকেই কখনো সমুদ্র দেখেনি। এমনকি তাদের সেখানে যাওয়ার অনুমোদনও নেই। সে কারণে, ফিলিস্তিনিদের পিকআপে করে নিয়ে এসে দিনভর মজা করার পর আবার রেখে আসা হয়। আর সারাদিন তাদের এতটা বিনোদন দেওয়া হয়, যেন দিনটাকে তারা ভুলতে না পারে।

আর এ কাজে ইসরায়েলের কয়েকজন স্বেচ্ছাসেবক নিরলস শ্রম দিয়ে যাচ্ছেন। স্বেচ্ছাসেবক রাব্বি জনাথন বলেন, আমি মনে করি আলাদা বিশ্বাসের দুই সম্প্রদায়ের মানুষের মধ্যে কাঁটাতারের সীমানা পেরিয়েও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি ইহুদিদের মূল্যবোধগুলো অন্যদের কাছে পৌঁছানো দরকার এবং আমাদের প্রতিবেশীদের সাথে শান্তি স্থাপন করা উচিত। সেই উদ্দেশ্য নিয়েই আমরা কাজ করে যাচ্ছি।

আন্তর্জাতিক