সফরকারীদের অধিকাংশ দলই বাংলাদেশের আবহাওয়াকে তাদের বড় প্রতিপক্ষ মনে করলেও আফগানিস্তানের বেলায় সেটা ভিন্ন। বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়মিতভাবেই অংশ নিচ্ছে আফগানিস্তানের খেলোযাড়রা। যে কারণেই এখানকার কন্ডিশনের সঙ্গে তারা পরিচিত। তাদের বিশ্বাস, এখানকার কন্ডিশন তাদের জন্য মোটেও দুর্বোধ্য এবং এটাই একটা সুবিধা হিসেবে দেখছে আফগানিস্তান দল। একইসঙ্গে বাংলাদেশের স্পিন আক্রমণ ঠেকাতে নিজেদের স্পিন অস্ত্রগুলোর কথাও মনে করিয়ে দিলেন মোহাম্মদ নবি।
আগামী ৫ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে শুরু হতে চলা একমাত্র টেস্টের প্রস্তুতি হিসেবে বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড(বিসিবি) একাদশের বিপক্ষে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলছে সফরকারী আফগানিস্তান ক্রিকেট দল। অতীতে দেখা গেছে, এশিয়ার দেশগুলোকেও চট্টগ্রামের উষ্ণ আবহাওয়ার সাথে মানিয়ে নিতে কষ্ট করতে হয়েছে। তবে নিয়মিতভাবে বাংলাদেশ সফর করা আফগান অল-রাউন্ডার মোহাম্মদ নবি এর সঙ্গে একমত নন।
সাংবাদিকদের নবি বলেন, ‘এখানকার আবহাওয়া কোনো বিষয় নয়। কেননা আমরা মাত্র আবুধাবি থেকে এসেছি, যেখানে তাপমাত্রা ছিল ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আমরা সেখানে ১০ দিন কাটিয়েছি। সুতরাং এর সঙ্গে আমরা অনেকটাই অভ্যস্ত। এখানকার(চট্টগ্রামে) আদ্রতা কিছুটা বেশি। তবে আশা করছি ৪-৫ দিনে আমরা এটা মানিয়ে নিতে পারব। গত ৫/৬ বছর ধরে আমরা নিয়মিতভাবে এখানে খেলতে আসছি। আমাদের দলের অধিকাংশ সদস্যই এ ধরনের কন্ডিশনের সঙ্গে অভ্যস্ত।’
টেস্ট ক্রিকেট তার দল নতুন হওয়ায় নবি বরং ইতিবাচক ক্রিকেট খেলার ওপর গুরুত্ব দেন, ‘টেস্টে আমরা ইতিবাচক খেলতে আমরা আমাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। আমি মনে করি উভয় দলের জন্যই বাড়তি পাওনা হচ্ছে তারা এশিয়ান কন্ডিশনে অভ্যস্ত এবং এশিয়ান খেলোয়াড়।’
নিজ মাঠে টেস্টে সাধারণত চার স্পিনার নিয়ে সেরা একাদশ সাজায় বাংলাদেশ এবং এবারও তার ব্যতিক্রম হবেনা। তবে নবির মতে, বাংলাদেশের পেসাররাও হুমকি হয়ে উঠতে পারেন এবং ধৈর্য্য এবং ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে নিজ দলের প্রতি আহবান জানান তিনি। নবি বলেন, ‘ভালো স্পিনর আক্রমণ ছাড়া তাদের ভালো ফাস্ট বোলারও রয়েছে। আমার মনে পিচ খুব বেশি বাউন্সি হবে না। অধিকাংশ সময়েই চট্টগ্রামের পিচ ব্যাটিং সহায়ক হয়ে থাকে এবং আমাদের দলে মানসম্মত বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যান ও ভালো মানের স্পিনারও আছে।’