পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন বাংলাদেশের অনেক উপজেলায় সরকারি কর্মকর্তা উপস্থিত থাকেন না। এটি মেনে নেয়া যায় না। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আজ শনিবার সকাল ১১টায় সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যেগে প্রশাসনিক সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ছয়দিনব্যাপী ফলদ বৃক্ষ মেলা ২০১৮ এবং উপজেলা পরিষদের অর্থায়নে মাদারস অ্যাম্বুলেন্সের কার্যক্রমের উদ্বোধনী সভায় তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্য এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি সর্বক্ষেত্রে জনসাধারণের সেবা সুনিশ্চিত করার লক্ষে কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ সবার আগে জনগনের সেবাদানে আন্তরিকতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। আমরা সেই লক্ষেই কাজ করছি।
মন্ত্রী বলেন, অনেক সময় দেখা যায় উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন সরকারী দপ্তরে দায়িত্বে থাকা প্রধান কর্মকর্তারা অনুপস্থিত থাকেন। যে কারনে কাঙ্ক্ষিত সেবা থেকে বঞ্চিত হন মানুষ। এটি কোনোভাবো মেনে নেয়া যায়না। এসব বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহফুজুল আলম মাসুমের সভাপতিত্বে ও উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শওকত ওসমান মজুমদারের পরিচালনায় এতে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামীগের সহসভাপতি সিদ্দিক আহমদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান প্রমুখ।
এ সময় জগন্নাথপুর পৌরসভার মেয়র আব্দুল মনাফ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রিজু মিয়া, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বিজন কুমার দেব, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারজানা বেগম, জগন্নাথপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রশিদ ভুঁইয়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে মন্ত্রী উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে আয়োজিত ছয় দিনব্যাপী ফলদ বৃক্ষ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন শেষে বিভিন্ন
স্টল পরিদর্শন করেন।