আজ শনিবার রংপুরসহ সারা দেশে জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের চেহলাম অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে রংপুরে ৩০ হাজার মানুষকে খাওয়ানো হবে বলে জানা গেছে।
জাতীয় পার্টি সূত্রে জানা গেছে, রংপুর শহরের ১৬টি স্থানে চেহলাম হবে। তার মধ্যে এরশাদের বাসভবন পল্লীনিবাসে দোয়া মাহফিল ও চেহলামে উপস্থিত থাকতে পারেন জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান ও সংসদে বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ। এতে দলের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতা ছাড়াও রংপুর-৩ আসনের অর্ধডজন মনোনয়নপ্রার্থী উপস্থিত থাকতে পারেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে জানান, এরশাদের রূহের মাগফিরাতের জন্য দোয়া ও চেহলামের জন্য রংপুরসহ সারা দেশের সব ইউনিটে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। রংপুরে জাতীয় পার্টি অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পাঁচ হাজার পরীক্ষিত নেতাকর্মী চেহলামে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব পালন করবেন। তিনি এরশাদের রূহের মাগফিরাত কামনায় দেশবাসীকে চেহলামের স্পটগুলোতে উপস্থিত হয়ে ধৈর্যসহকারে সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রেখে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল এবং তবারক গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছেন।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও রংপুর মহানগর জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক এস এম ইয়াসির গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গত ১৪ জুলাই, রবিবার সকাল পৌনে ৮টার দিকে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এরশাদ মারা যান। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। ২৩ আগস্ট তার মৃত্যুর ৪০ দিন ছিল। সে দিনই তার চেহলাম অনুষ্ঠানের আয়োজনের সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু সে দিন হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি পূজা থাকায় তারিখ পরিবর্তন করে ৩১ আগস্ট করা হয়।
এদিকে এরশাদের মৃত্যুর পর জাতীয় পার্টির প্রকৃত চালক কে—তা নিয়ে দলটির ভেতরে-বাইরে যেমন রেষারেষি আছে, তেমনি কর্মী ও সমর্থকরাও চরম আকারের গ্রুপিংয়ে জড়িয়ে পড়েছে। এক পক্ষ চায় জি এম কাদেরের নেতৃত্ব, অন্য পক্ষ রওশনের। এরশাদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া রংপুর-৩ আসনের উপনির্বাচন ঘিরে এ কোন্দল আরো বেড়েছে। এরশাদের পরিবারেও দ্বন্দ্ব রয়েছে।