১০ বছর ধরে বলিউডে আছেন নুসরাত বারুচা। তবে তিনি সবচেয়ে উজ্জ্বল তারা হয়ে জ্বলে উঠেছেন গত বছর, ‘সোনু কে টিটু কি সুইটি’ ছবি দিয়ে। এই ছবির পর যেন সবাই তাঁর নাম নতুন করে জানতে পেরেছে। বলিউডে প্রতিষ্ঠা পেতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়েছে তাঁকে। ‘আকাশবাণী’ ফ্লপ করার পর তিনি ভেঙে পড়েন এবং পারিশ্রমিক ফিরিয়ে দেন। অবশেষে নুসরাত বারুচার সেই সংগ্রাম সাফল্যের মুখ দেখেছে। ১০ বছর বলিউডকে দিয়েছেন, এবার বলিউডও দুহাত ভরে দিতে শুরু করেছে। দিন ফিরেছে নুসরাত বারুচার।
‘প্যায়ার কা পঞ্চনামা’ ছবির পর সবার কাছে তিনি ছিলেন ‘পঞ্চনামা গার্ল’। কিন্তু অনেকেই নাম জানতে পারেনি। ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে নুসরাত বারুচা বলেছেন, ‘সোনু কে টিটু কি সুইটি’ ছবির পর সবাই তাঁর নাম জানতে শুরু করেছে। সামনেই মুক্তি পাবে নুসরাত বারুচা আর আয়ুষ্মান খুরানার ছবি ‘ড্রিম গার্ল’। ইতিমধ্যে এই ছবির গান খুব পছন্দ করেছেন দর্শক। এই ছবি দিয়ে তিনি চিরতরে ‘পাঞ্চনামা গার্ল’ ট্যাগ মুছে নিজের নাম প্রতিষ্ঠিত করতে চান বলিউডে। আইএএনএসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারেও উঠে এসেছে সেই ইচ্ছার কথা।
‘প্রথম দিকে আমি “পঞ্চনামা গার্ল” ট্যাগকে ভালোভাবেই নিয়েছিলাম। কারণ, এই ছবিতে আরও দুজন নারী ছিলেন। কিন্তু সবাই আমাকে এই নামে ডাকছে। পরে দেখলাম, মানুষ আমাকে আমার নামে কম চেনে। আমাকে ডাকছে “পঞ্চনামা গার্ল” নামে। “সোনু কে টিটু কি সুইটি” ছবির সাফল্যের পর পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে।’ বললেন নুসরাত বারুচা।
‘সোনু কে টিটু কি সুইটি’ যে এত বড় হিট হবে ভাবতে পেরেছিলেন? নুসরাত বললেন, ‘ভাবতে পারিনি কেউ। এই ছবির সঙ্গে যুক্ত সবার কাছেই এটা ছিল আশাতীত আকস্মিক উপহার। আমরা সবাই কম-বেশি একসঙ্গেই ক্যারিয়ার শুরু করেছি। “প্যায়ার কা পঞ্চনামা” প্রথম হিট করল। “প্যায়ার কা পঞ্চনামা টু” আগের চেয়েও বেশি মানুষের কাছে পৌঁছে যায়। আর দর্শক “সোনু কে টিটু কি সুইটি” ছবিকে এমন একটা জায়গায় এগিয়ে নেন, যেটা কেউ কল্পনা করিনি। তবে এই ছবির গল্প এমন, যা কেউ আগে থেকে কিছুই আন্দাজ করতে পারবে না।’
নুসরাত বারুচা কাজ করেছেন আয়ুষ্মান খুরানা আর রাজ কুমার রাওদের মতো গুণী অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে। তাঁদের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতার নিয়ে বললেন, ‘আমি সব সময় এই মানের গুণী অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে কাজ করতে মুখিয়ে থাকি। একটু যে ভয় ভয় করে না, তা না। তবে সব সময় আমার ভেতরে কাজ করে, আমার সহশিল্পী যতটা প্রতিভাবান, আমাকেও তাঁর পাশে সেই মান বজায় রাখতে হবে। নয়তো একই ফ্রেমে আমাকে ম্লান দেখাবে। এভাবে নিজের ভেতর থেকে ভালো অভিনয় বের করে আনি।’
‘ড্রিম গার্ল’ চলচ্চিত্রে আয়ুষ্মান খুরানার চরিত্র খুবই পছন্দ নুসরাতের। এ রকম একটা ছবির সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করতে পেরে খুবই আনন্দিত তিনি। চলতি বছর ১৩ সেপ্টেম্বর মুক্তি পাবে ‘ড্রিম গার্ল’। ‘হার্দাং’ নামে আরও একটি ছবির কাজ চলছে। এই ছবিতে নুসরাত বারুচার বিপরীতে দেখা যাবে সানি কৌশলকে। ছবির গল্প গত শতকের নব্বই দশকের। ওই সময় তরুণেরা দিনের একটা বড় সময় কাটাত রাস্তায়, আন্দোলন করে। আত্ম–অনুসন্ধানে চলে যেত আরও অনেকটা সময়।
৩৪ বছর বয়সী নুসরাত এই ছবিতে নিজের চরিত্র নিয়ে এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ‘“হার্দাং” ছবিতে আমার চরিত্রটা খুব শক্ত, দৃঢ় আর সাহসী একজন নারীর। সেসব জাত, ধর্ম, শ্রেণিবিভেদের বিপক্ষে। আমি চরিত্রটা পছন্দ করি, কারণ এ চরিত্র অন্যের মতো করে নয়, বরং নিজের মতো করে বাঁচতে জানে।’