মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সহকারী গতকাল বৃহস্পতিবার পদত্যাগ করেছেন। এর আগে তিনি ট্রাম্পের পরিবার এবং হোয়াইট হাউজের নানা বিষয় নিয়ে সাংবাদিকদের কাছে তথ্য প্রদান করেন।
প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর থেকেই ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন মেডেলিন ওয়েস্টারহাউট। তিনি ওভাল অফিসের অপারেশন্স বিভাগের পরিচালকও ছিলেন। তার পদত্যাগের খবর প্রথম প্রকাশ করে নিউ ইয়র্ক টাইমস। নিউ জার্সিতে এক ডিনারে এসব ‘অফ-দ্য-রেকর্ড’ তথ্য দেন মেডেলিন। তবে এটা পুরোপুরি স্পষ্ট নয় যে মেডেলিন ট্রাম্পের পরিবারের বিষয়ে ঠিক কি কি তথ্য দিয়েছেন। হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকেও তার পদত্যাগের বিষয়ে কিছু বলা হয়নি।
পলিটিকোকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সূত্র জানায়, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হোয়াইট হাউজে আরো বড় ধরনের দায়িত্ব নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন মেডেলিন। এর মধ্যে ছিল আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভ্রমণ সংক্রান্ত দায়িত্ব। অফিসের অভ্যন্তরে এ ধরনের ক্ষমতা প্রাপ্তির চেষ্টা কয়েকজন কর্মকর্তার বিরক্তির কারণ হয়ে ওঠে। এরা মূলত তাকে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবেই সবচেয়ে যোগ্য বলে মনে করতেন।
দ্য টাইমস জানায়, এ ঘটনার পর মেডেলিনকে ‘বিচ্ছিন্ন কর্মী’ হিসেবে গণ্য করা হয় এবং হোয়াইট হাউজে ফেরার অনুমতি পাবেন না বলে জানানো হয়।
মেডেলিন ২০১৭ থেকে ট্রাম্পের ব্যক্তিগত সহকারী হিসেবে বছরে ৯৫ হাজার ডলার বেতন পেতেন। দুই বছর বাদে পদোন্নতি পেয়ে ওভাল অফিসের পরিচালক হিসেবে ১ লাখ ৪৫ হাজার ডলার বেতন হয় তার।
ক্যালিফোর্নিয়ার বাসিন্দা মেডেলিন কলেজ অব চার্লসটন থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেন। ২০১৬ সালের নির্বাচনকালীন রাতে তিনি এত কেঁদেছিলেন যে তাকে কোনভাবেই শান্ত করা যাচ্ছিল না। সাংবাদিক টিম আলবার্তা তার ‘আমেরিকান কার্নেজ’-এ এসব কথা লিখেছেন।
ওয়াশিংটন পোস্ট তার এক প্রতিবেদনে জানায়, পরবর্তিতে তাকে প্রেসিডেন্টের এক্সিকিউটিভ অ্যাসিস্টেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। আর এখন তিনি ওভাল অফিসের বাইরে বসে আছেন, লিখেছেন আলবার্তা।
সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার