তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন পাস হলে এর আলোকে টেলিভিশন সাংবাদিকদের জন্য নতুন নীতিমালা করার সুযোগ তৈরি হবে। এমনকি সাংবাদিকদের হঠাৎ করে ছাঁটাই, পাওনা পরিশোধ না করাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সুরাহা হবে।
আজ বুধবার দুপুরে সচিবালয়ে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টারের সঙ্গে মতবিনিময়ের পরে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, গণমাধ্যমকর্মী আইন নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠক করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কারণ শ্রম আইনের সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মী আইনের বিষয় রয়েছে সেগুলো সমাধান করা প্রয়োজন। সেটি সহসা হবে, হলে পরে সেটি আবার মন্ত্রিসভায় নিয়ে যেতে পারবো। মন্ত্রিসভা হয়ে পার্লামেন্টে যাবে। একটি আইন তৈরি করা সহজ কাজ নয়, আর গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট আইন করা আরো সহজ নয়। যেহেতু এটি অত্যন্ত স্পর্শকাতর, সবকিছু বিবেচনা করে দেখেশুনে করতে হয়। নানা মন্ত্রণালয় এর সঙ্গে যুক্ত, সেজন্যই সময় লাগছে।
মন্ত্রী বলেন, অতীতের চেয়ে বর্তমানে টেলিভিশন মাধ্যমের বিকাশ ঘটেছে। তবে এর বাজার সংকুচিত হওয়ায় টেলিভিশনগুলো লাভজনক হয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারছে না। এরই মধ্যে বিদেশি টেলিভিশন চ্যানেলে দেশি বিজ্ঞাপন বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।
তিনি বলেন, টেলিভিশনগুলো আয় কমে যাওয়ায় সংবাদকর্মীদের নিয়মিত বেতন দিতে পারে না। যেসব টেলিভিশন মালিক নিয়ম না মেনে কর্মী ছাঁটাই করছে তাদের ক্ষতিপূরন আদায়েও তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন বলেও জানান তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশে এখন ৩৩টি চ্যানেল আছে, আরো ছয়টি খুব সহসাই অনএয়ারে আসবে। সেখানে কয়েক হাজার গণমাধ্যম কর্মী ও সাংবাদিক রয়েছেন। সম্প্রচার গণমাধ্যমে বিকাশটা পুরোটাই শেখ হাসিনার হাত ধরে হয়েছে।
তথ্যসচিব আবদুল মালেক ছাড়াও সংগঠনের সভাপতি রেজোয়ানুল হক ও সদস্য সচিব শাকিল আহমেদের নেতৃত্বে এসময় অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠকে টেলিভিশন সাংবাদিকদের জন্য একটি আলাদা ওয়েজবোর্ড গঠন, গণমাধ্যমকর্মী আইনটি দ্রুত পাসসহ নিজেদের কর্মপরিবেশ সুরক্ষা রেখে, কারণে-অকারণে কর্মী ছাঁটাই বন্ধে তথ্যমন্ত্রীর সহযোগিতা চান বিজেসি নেতারা।