বিদ্রোহী অপবাদ দিয়ে এক নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে শাস্তির সম্মুখীন হয়েছে কলম্বিয়ার ছয় সেনা। ওই সেনারা মানসিকভাবে অসুস্থ একজন ব্যক্তিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে তাকে বিদ্রোহী হিসেবে আখ্যা দেয় বলে জানায় সংবাদমাধ্যম। পদোন্নতি ও অন্যান পেশাগত সুবিধা পাওয়ার জন্য ওই সেনাসদস্যরা এ অপকর্ম সংঘটন করে বলে জানা যায়।
অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ৪ সেনাকে ৩০ বছর করে কারাদণ্ড দেয় আদালত। বাকি ২ জনের প্রত্যেককে ৫০ বছরের করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এদের মধ্যে ১ জন সেনাবাহিনীর মেজর ও অপরজন লেফট্যানান্ট বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডর শিকার ফেয়ার লিওনার্দো পোরাসকে কলম্বিয়ার উত্তর পুর্বাঞ্চলীয় ওকানা শহরে চাকরির প্রলোভনে নিয়ে আসা হয়। পরবর্তীতে তাকে সেখানেই ২০০৮ এ হত্যা করা হয়। তার সঙ্গে ওই শহরে আসা অপর দশ ব্যক্তিকেও হত্যা করা হয়। এই মামলাও এখন আলাদাভাবে তদন্ত করা হচ্ছে বলে কলম্বিয়ার এটর্নি জেনারেলের অফিসের উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
বিচারবহির্ভূতভাবে বেসামরিক নাগরিক হত্যার ঘটনা প্রায়ই ঘটে কলম্বিয়ায়। সরকারি বাহিনী দেশটির বিভিন্ন বামপন্থি গেরিলা গ্রুপের সঙ্গে প্রায় অর্ধ শতাব্দীকাল ধরে লড়াই চালিয়ে আসছে।এই লড়াইয়ে লিপ্ত সব পক্ষের বিরুদ্ধেই মানবাধিকার লঙ্ঘণের অভিযোগ আছে।সরকারি সেনারা প্রায়ই বিদ্রোহী সন্দেহে বেসামরিক নাগরিকদের হত্যা করে থাকে। আবার গেরিলারাও সরকারের চর আখ্যা দিয়ে অনেক সময়ই বেসামরিক মানুষকে হত্যা করে।
সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সরকারি বাহিনীর হাতে এ রকম বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ১ হাজারেরও বেশি ঘটনা বর্তমানে তদন্ত করছে কলম্বিয়ার এটর্নি জেনারেল অফিস।