আজ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. বদরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। এ বিষয়ে ১৫ অক্টোবর অগ্রগতি জানাতে ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এ জন্য কোনো ধরনের অজুহাত ছাড়াই বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও অর্থ মন্ত্রণালয় বাজেট বরাদ্দের ব্যবস্থা করবে বলে নির্দেশে উল্লেখ করা হয়েছে।
এর আগে হটলাইন চালু করতে ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়ার বিষয়ে জানতে তলবে হাইকোর্টে হাজির হয়েছিলেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ বিভাগ) শামীম আল মামুন। আদালতে হটলাইন বিষয়ে বিশেষজ্ঞ মতামত দিয়েছিলেন একটি বেসরকারি সফটওয়্যার কম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা রাফসান জানি সামি।
বিশেষজ্ঞ মতে তিনি জানান, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) থেকে লাইসেন্স নিয়ে মাসিক ভিত্তিতে প্রয়োজন অনুসারে খরচের ওপর নির্ভর করে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে হটলাইন চালু করা যেতে পারে। এরপর আদালত শামীম আল মামুনের কাছে বাজেটের বিষয়ে জানতে চান। জবাবে তিনি বলেন, কমিটির আলোচনায় আউটসোর্সিংয়ের বিষয়টি আসেনি।
এ সময় আদালত উষ্মা প্রকাশ করে বলেন, বিষয়টি আপনাদের নজরে কেন আসেনি? আগে বলেছেন আপনাদের লোকবল কম। তাহলে আপনারা কীভাবে এটি স্থাপন করবেন? এ সময় শামীম আল মামুন ক্ষমা প্রার্থনা করে বলেন, আপনারা যেভাবে নির্দেশনা দেবেন সেভাবে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে স্থাপন করবো।
আদালত বলেন, আউটসোর্সিংয়ে করতে কত দিন লাগবে? জবাবে তিনি বলেন, বাজেট পাওয়ার পর তিন মাস লাগবে। কারণ ব্যুরোক্রেটিং প্রসেসটা ম্যান্টেইন করতে হবে। এরপর আদালত আদেশ দেন।
গত ২০ আগস্ট তাকে হটলাইনে স্থাপনের জন্য ৫০ লাখ টাকা বরাদ্দ চাওয়ার বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে তলব করেন হাইকোর্ট। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন ব্যারিস্টার শিহাব উদ্দিন খান। আর নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পক্ষে ব্যারিস্টার মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম ও ভোক্তা অধিকারের পক্ষে ছিলেন কামরুজ্জামান কচি।