জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন আয়োজনে কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। তবে তাকে জাতীয় কবি ঘোষণা করা সংক্রান্ত সরকারি কোনো প্রজ্ঞাপন বা দলিল নেই। এ কারণে বহুদিন ধরে নজরুলকে গেজেটের মাধ্যমে এ স্বীকৃতি দেয়ার আহ্বান জানিয়ে আসছেন নজরুলের পরিবারের সদস্য ও বিশিষ্টজনরা।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, কাজী নজরুল জাতীয় কবি হিসেবে গ্রহণযোগ্য ও সমাদৃত। এটি শুধু মুখের কথা নয়। এটা আমাদের বিশ্বাসে, আমাদের প্রতিটি কর্মে প্রমাণ করছি। আমরা প্রত্যেকে কর্মে জাতীয় কবি হিসেবে তার চেতনাকে ধারণ করছি। তার স্বপ্নকে ধারণ করছি এটাই বড় কথা। জাতীয় কবি হিসেবে তাকে সম্মান করছি, শ্রদ্ধা করছি, এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
মন্ত্রী বলেন, একজন বিদ্রোহী কবি, যৌবনের কবি, মানবতার কবি, প্রেমের কবি, প্রতিবাদের কবি, অগ্নিবীণার কবি, আমাদের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আমাদের নেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করতে এসেছি। কবির আদর্শটাই আজকে বড়। তিনি ছিলেন অসম্প্রদায়িক, মানবতাবাদী চেতনায় উদ্বুদ্ধ। তার প্রতিটি লেখায়, প্রতিটি কবিতায় অসাম্প্রদায়িক মানবতার ধ্বনি উচ্চারিত হয়েছে বারবার। আমরা আজ কবির এ সমাধির পাশে দাঁড়িয়ে অসাম্প্রদায়িক, মানবতাবোধের চেতনায় সাম্প্রদায়িকতার যে বিষবৃক্ষ ছড়িয়ে পড়েছে সেটিকে উৎপাটন করে কবির স্বপ্নের অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার শপথ নেব আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে।
এ সময় ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আবদুর রহমান, দফতর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ।
এর আগে কবির সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। তার সঙ্গে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক মুহাম্মাদ সামাদ, শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম মাকসুদ কামাল প্রমুখ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল, হল সংসদ, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, জাতীয় কবিতা পরিষদ, নজরুলসংগীতশিল্পী পরিষদ, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংস্থা (জাসাস), বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা কবির সমাধিতে ইতোমধ্যে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন। দলে দলে কবিকে শ্রদ্ধা জানাতে আসছেন বিভিন্ন স্তরের মানুষ।