বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে পৌঁছে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী। তিনি বলেন, বাংলার অবিসংবাদিত এ নেতা বাঙালির বৈষম্য ও বঞ্চনার ইতিহাস গভীরভাবে অনুভব করতে পেরে আজীবন তাদের মুক্তির জন্য লড়াই-সংগ্রাম করে গেছেন। সোমবার (২৬ আগস্ট) জাতীয় সংসদ ভবনে সংসদ সচিবালয় আয়োজিত জাতির পিতার ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস-২০১৯ উপলক্ষে আলোচনা সভা, দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে বাংলাদেশ রাষ্ট্র উপহার দিয়ে গেছেন। বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধু তার জীবন-যৌবনের বড় অংশ কারাগারে কাটিয়েছেন। তিনি ছিলেন অকুতোভয়, নির্লোভ ও নির্মোহ। অন্যায়ের কাছে কখনও মাথা নত করেননি। মামলা, জেল, জুলুম ও মৃত্যুভয় তাকে লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করতে পারেনি। ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও তিনি আপোস করেননি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু গভীরভাবে মানুষকে ভালোবাসতেন। তিনি বিশ্বাস করতেন জনগণকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে না পারলে অধিকার প্রতিষ্ঠা কিংবা উন্নয়ন কিছুই সম্ভব নয়। জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনই ছিল বঙ্গবন্ধুর সংগ্রামী জীবনের একমাত্র দর্শন।
স্পিকার বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বজন হারানোর ব্যথা ভুলে দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। এখন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক সব সূচকে উন্নয়নের রোল মডেল।
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব ড. জাফর আহমেদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা তোফায়েল আহমেদ, ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, হুইপ ইকবালুর রহিম, আতিউর রহমান আতিকসহ সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তারা বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের সদস্যসহ সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

বাংলাদেশ শীর্ষ খবর