ফ্রান্সের বিয়ারিত্জ শহরে সোমবার জি-৭ সম্মেলনের সাইডলাইনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দুই নেতার আলোচনায় দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পাশাপাশি কাশ্মির ইস্যু উঠে আসতে পারে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে। কেননা ইতোপূর্বে একাধিক বার কাশ্মির নিয়ে কথা বলেছেন ট্রাম্প। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পাশে বসিয়ে এ বিষয়ে মধ্যস্থতারও প্রস্তাব দিয়েছেন তিনি। তবে ভারতের পক্ষ থেকে বরাবরই কাশ্মির নিয়ে যে কোনও মধ্যস্থতার প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সালের ৫ আগস্ট ভারত অধিকৃত কাশ্মিরের স্বায়ত্তশাসন বাতিল করে অঞ্চলটিকে দুই টুকরো করে দেয় দিল্লি। ওই দিন সকাল থেকে কার্যত অচলাবস্থার মধ্যে নিমজ্জিত হয় দুনিয়ার ভূস্বর্গ খ্যাত কাশ্মির উপত্যকা। ফোনে ট্রাম্পকে সামগ্রিক পরিস্থিতি জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। পরে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও একই ইস্যুতে ট্রাম্পকে ফোন করে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে নালিশ জানান। দুই প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ফোনালাপের পর টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে তিনি কাশ্মিরের বর্তমান অবস্থাকে ‘একটি কঠিন পরিস্থিতি’ হিসেবে উল্লেখ করেন। পরদিন হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অঞ্চলটির বিদ্যমান অবস্থাকে ‘উত্তেজনাপূর্ণ’ হিসেবে উল্লেখ করেন ট্রাম্প।
সম্প্রতি হোয়াইট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘কাশ্মির খুবই জটিল একটি জায়গা। সেখানে হিন্দু রয়েছে মুসলিমও রয়েছে। আমি বলতে পারি না যে তারা একসঙ্গে ভালো রয়েছে। সেখানে মধ্যস্থতা করতে আমি যতটুকু সম্ভব করবো। আপনারা দুটি দেশ, দীর্ঘ সময় ধরে একসঙ্গে এবং ঘনিষ্ঠভাবে থাকতে পারছেন না, এটা খুবই বিস্ফোরক পরিস্থিতি।’
ট্রাম্প বলেন, ‘আমি মনে করি আমরা বিষয়টিকে সাহায্য করছি। যেমনটা আপনারা জানেন, দুই দেশের মধ্যে প্রচণ্ড রকম সমস্যা রয়েছে। মধ্যস্থতা করতে আমি যতটা সম্ভব করবো অথবা কিছু তো করবো।’
এর আগে ইমরান খান ও নরেন্দ্র মোদি-র সঙ্গে ফোনালাপের পর টুইটারে দেওয়া পোস্টে ট্রাম্প বলেন, ‘আমার দুই ভালো বন্ধু ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে কথা হয়েছে। বাণিজ্য ও কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়ে আমাদের মধ্যে আলোচনা হয়েছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, কাশ্মিরে উত্তেজনা হ্রাসে কাজ করার বিষয়ে ভারত ও পাকিস্তানের সঙ্গে কথা হয়েছে। একটি কঠিন পরিস্থিতি, কিন্তু ভালো আলোচনা হয়েছে!’ সূত্র: জি নিউজ, রয়টার্স।