রাহুলের সফরে সদুদ্দেশ্য ছিল না তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে রাজনীতি করতে চেয়েছেন

রাহুলের সফরে সদুদ্দেশ্য ছিল না তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে রাজনীতি করতে চেয়েছেন

কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীকে কাশ্মীর পরিস্থিতি দেখার জন্য সেখানে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন গভর্নর সত্যপাল মালিক। অথচ স্থানীয় প্রশাসনের বাঁধায় আজ শনিবার রাহুলের নেতৃত্বে বিরোধীদের একটি প্রতিনিধি দলকে শ্রীনগর বিমানবন্দর থেকে ফেরত আসতে হয়েছে।
এরপর কাশ্মীরের গভর্নর সত্যপাল মালিক বলেছেন, রাহুলের সফরে সদুদ্দেশ্য ছিল না। তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে রাজনীতি করতে চেয়েছেন।
স্থানীয় গণমাধ্যম এএনআইকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে সত্যপাল মালিক করেছেন, আমি তাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম ঠিক। তবে তার আগমণের পেছনে সদুদ্দেশ্য ছিল না, তিনি কাশ্মীর ইস্যুতে রাজনীতি করতে চেয়েছেন। রাজনৈতিক দলগুলোর এই মুহূর্তে জাতীয় স্বার্থকে প্রাধান্য দেয়া উচিত।
চলতি মাসের শুরুতে ভারতের সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিলের মাধ্যমে কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন কেড়ে নেয়া হয়। জারি করা হয় কেন্দ্রের শাসন। এই নিয়ে কংগ্রেস নেতারা যখন সমালোচনায় মুখর ছিলেন তখনই কাশ্মীর সফরে তাকে আমন্ত্রণ জানান সত্যপাল।
তবে এখন তাকে কাশ্মীরে কোনো প্রয়েজন নেই বলে জানান গভর্নর।
তিনি বলেন, এখন এখানে তার (রাহুল) কোনো প্রয়োজন নেই। যখন তার সহকর্মীরা পার্লামেন্টে বক্তব্য দিয়েছেন তখন প্রয়োজন ছিল। কাশ্মীর ইস্যুতে দিল্লিতে মিথ্যাচারের পর এবার একই কাজ করতে এখানে এসেছিলেন তিনি। এটা ভালো নয়।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের সাবেক সভাপতি রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে বিরোধীদের একটি প্রতিনিধি দল আজ কাশ্মীর সফরে গিয়ে বাঁধার মুখে পড়ে। এই প্রতিনিধি দলে বামপন্থি সিপিআইএম ও সিপিআই, তামিলনাড়ুর ডিএমকে, শারদ পাওয়ারের এনসিপি, কর্নাটক ও কেরালার জেডি-এস, রাজস্থানের আরজেডি ও সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস ছিল।
বিরোধীদের প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাহুল গান্ধী ছাড়াও দলটির রাজ্যসভার প্রধান গুলাম নবী আজাদ ও আনন্দ শর্মা, সিপিআইএমের সীতারাম ইয়েচুরি, সিপিআইয়ের ডি রাজা, ডিএমকের তিরুচি শিবা, আরজেডির মনোজ ঝা, এনসিপির দিনেশ ত্রিবেদী প্রমুখ।

আন্তর্জাতিক