গরুর খামার বানাতে আমাজনে আগুন দিয়েছে ব্রাজিল!

গরুর খামার বানাতে আমাজনে আগুন দিয়েছে ব্রাজিল!

গরুর মাংস রপ্তানিতে ব্রাজিল এক নম্বর দেশ। উন্নত দেশগুলোর জনগণ গোমাংসের আসল ভোক্তা।
‘ফাস্ট ফুড’ এর মূল উপাদান গোমাংস। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ পশ্চিমা দেশগুলোতে ২০১৮ সালেও ১ দশমিক ৭ মিলিয়ন টন গোমাংস রপ্তানি করেছে ব্রাজিল। এছাড়া চীনও গোমাংসের বড় ভোক্তা। এই রপ্তানির আকার ২০১৭ সালের তুলনায় ১০ শতাংশ বেশি।
ব্রাজিলের ৩০টি প্রতিষ্ঠান গরুর মাংস রপ্তানি প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত। আর বছর বছরও বাড়ছে গরুর মাংস রপ্তানির চাহিদা।
ফলে আমাজনের ৪ লাখ ৫০ হাজার বর্গকিলোমিটার এখন গোচারণভূমিতে পরিণত হয়েছে।
ব্রাজিলে ২০১৮ সালে গরুর বর্জ্য ছিল ৫ লাখ ২৭ হাজার মেট্রিক টন। যেভাবে এই শিল্প বেড়ে উঠছে, তাতে ২০২৮ সাল নাগাদ বর্জ্য আবর্জনার পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় তিন মিলিয়ন মেট্রিক টনে।
মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার মতে, চলতি বছর জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত আট মাসে ৭৩ হাজারের বেশি অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে আমাজনে।
ব্রাজিলের মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর স্পেস রিসার্চ স্যাটেলাইটে পাওয়া ছবি ও তথ্য পর্যালোচনা করে জানায়, এই বছরে বনে আগুন লাগার সংখ্যা এবং ব্যাপ্তি গত বছরের তুলনায় ৮৮ শতাংশ বেশি।
পরিবেশবাদীদের দাবি, কার্যত গরুর খামার বানাতে আগুন দিয়ে আমাজন উজাড় করছে ব্রাজিল। নির্মাণ-কাঠের রপ্তানি আয় কমে যাওয়ায় ব্রাজিলের অর্থনীতি মার খাচ্ছে। এখন গরুর মাংস রপ্তানির আয় কমে গেলে ব্রাজিল আরো গরিব হয়ে পড়বে। যেখানে ২০১৮ সালে গরুর মাংস রফতানিতে তাদের আয় সাড়ে ছয় বিলিয়ন ডলারের বেশি।
নতুন করে ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ডসহ আরো বেশ কিছু দেশ গোমাংস আমদানিতে ব্রাজিলের সঙ্গে চুক্তি করছে।
আমাজনে আগুনের ঘটনায় ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট জায়ার বোলসোনারোর সমালোচনা করে ফ্রান্স ও আয়ারল্যান্ড। ফিনল্যান্ডের অর্থমন্ত্রী ইউরোপীয় ইউনিয়নে ব্রাজিলের গরুর মাংস আমদানি নিষিদ্ধের ডাক দেন।
এ ছাড়া পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো ব্রাজিলের বিভিন্ন শহরে শুক্রবার বিক্ষোভ করে। বিশ্বের নানা দেশে ব্রাজিলের দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
সূত্র: সিএনএন

আন্তর্জাতিক