অনেক আগেই করণ জোহর নিজেকে নিয়ে গেছেন বলিউডের অন্যতম সেরা পরিচালকদের কাতারে। অসাধারণ সব সিনেমা উপহার দিয়েছেন তিনি। সেইসঙ্গে কার মধ্যে সম্ভাবনা রয়েছে, কার নেই তা যেন পাকা জহুরির মতো বিচার বিশ্লেষণ করেছেন তিনি। তার মাধ্যমে এমন কিছু নায়ক-নায়িকা বলিউডে এসেছেন, যাদের প্রায় সবাই এখন নিজ নিজ জায়গা পাকা করে ফেলেছেন। এবার জেনে নেওয়া যাক তেমন কয়েকজন সম্পর্কে।
বরুণ ধাওয়ান: করণ জোহরের প্রিয় ছাত্র বরুণ। করণ জোহরের ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’, ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া’, ‘বদ্রিনাথ কি দুলহানিয়া’ এবং ‘কলঙ্ক’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করেছেন তিনি। করণ জোহরের ছবি দিয়েই বলিউডে হাতেখড়ি বরুণের।
আলিয়া ভাট: ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’ তিন নতুন বলিউড স্টারের জন্ম দিয়েছে। এক জনের কথা আগেই বলা হয়েছে। বরুণ ধাওয়ান। দ্বিতীয় জন হলেন আলিয়া ভাট এবং তৃতীয় সিদ্ধার্থ মালহোত্রা। বিখ্যাত পরিচালক মহেশ ভাটের কন্যা আলিয়াও একাধিকবার স্বীকার করেছেন, করণের জন্যই আজ তিনি এই জায়গায়।
সিদ্ধার্থ মালহোত্রা: করণ জোহর এবং সিদ্ধার্থকে মাঝে মধ্যেই এক সঙ্গে দেখা যায়। কখনও ডিনারে, কখনও বা সিনেমা হলে। বিভিন্ন সময়ে পার্টিতে দুজনকে এক সঙ্গে যেতে আসতেও দেখা গেছে। সিদ্ধার্থ যে করণের খুব প্রিয় স্টুডেন্ট তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’-এর পর করণের বহু ছবিতে সিদ্ধার্থ অভিনয়ের সুযোগও পান।
অভিষেক বর্মন: ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’, ‘মাই নেম ইজ খান’-এর সহ পরিচালক ছিলেন অভিষেক। এর পর তার ক্যারিয়ারের সবচেয়ে বড় ব্রেক ছিল ‘টু স্টেটস’।
জাহ্নবী কাপুর: প্রয়াত শ্রীদেবী এবং বনি কাপুরের মেয়ে জাহ্নবীরও বলিউডে পা করণ জোহরের হাত ধরেই। তার প্রথম ছবি ‘ধড়ক’ করণেরই ছবি। জাহ্নবীর মা শ্রীদেবীও করণ জোহরের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। এখন সেই জায়গাটা জাহ্নবীর।
অয়ন মুখার্জী: পরিচালনার পাশাপাশি ছবির স্ক্রিপ্টও লেখেন অয়ন। আর এই দুটোই সম্ভব হয়েছে করণ জোহরের সঙ্গে। ‘কভি অলভিদা না কহেনা’ ছবিতে তাকে সহ-পরিচালনার সুযোগ করে দিয়েছিলেন করণ। করণের ছবি ‘ওয়েক আপ সিড!’-এর স্ক্রিপ্ট রাইটার তিনি। শুধু তাই নয়, এর পরও করণ জোহরের সঙ্গে কাজ করে চলেছেন তিনি। ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’-র পরিচালনাও তিনিই করেন।
পুণিত মালহোত্রা: ফ্যাশন ডিজাইনার মণীশ মালহোত্রার ভাইপো পুণিত। মণীশ আবার করণ জোহরের খুব ভালো বন্ধু। সেই সূত্র ধরেই পুণিতের সঙ্গে পরিচয় করণের। পুণিত পরিচালক। ছবি পরিচালনার সুযোগ তাকে করণই করে দিয়েছিলেন। ‘কভি খুশি কভি গম’, ‘কাল হো না হো’, ‘পহেলি’ এবং ‘দোস্তানা’র মতো ছবিতে পুণিতকে সহ-পরিচালকের কাজ দিয়েছিলেন। করণ প্রযোজিত ছবি ‘আই হেট লাভ স্টোরি’র পরিচালনা করেছিলেন পুণিত।
শকুন বাত্রা: ‘রক অন’, ‘ডন ২’ এবং ‘জানে তু… ইয়া জানে না’ করণ জোহরের এই সব ছবিতে সহকারী পরিচালক ছিলেন তিনি। এর আগে ২০১২ সালে করণ জোহরের প্রযোজিত ছবি ‘এক ম্যায় অউর এক তু’-এ তাকে পরিচালনার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। এটাই ছিল তার বলিউডের বড় ব্রেক থ্রু। শোনা যাচ্ছে, করণের পরবর্তী ছবি ‘দোস্তানা ২’-ও পরিচালনা করবেন তিনি।
শশাঙ্ক খৈতান: ২০১৪ সালে ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহনিয়া’ দিয়ে প্রথমবার বলিউডে পা রাখেন শশাঙ্ক। এরপর ২০১৬ সালে আবারও করণ জোহর তাকে ‘বদ্রিনাথ কি দুলহানিয়া’ ছবিটা লেখার এবং একই সঙ্গে পরিচালনার সুযোগ দেন।
সিদ্ধার্থ পি মালহোত্রা: গডফাদারের ছোঁয়ায় আরও এক সিদ্ধার্থ উন্নতি করেছেন। তবে তিনি অভিনেতা নন। পরিচালক। করণ জোহরের ছবি ‘উই আর ফ্যামিলি’-তে সিদ্ধার্থকে পরিচালনার সুযোগ করে দিয়েছিলেন করণই। রানি মুখোপাধ্যায় অভিনীত ‘হিচকি’ ছবিটাও তারই পরিচালিত। এই ছবিটা যশ রাজ ফিল্ম প্রোডাকশন হাউসের হলেও করণ জোহর ব্যক্তিগত ভাবে এর প্রমোশন করেছিলেন।
সোনম নায়ার: নিঃসন্দেহে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম সেরা পরিচালক করণ জোহর। জোহরের জুহুরির চোখ শুধু ভাল অভিনেতা চেনে না, ভাল পরিচালকও বেছে নেয়। করণ জোহরের ছবি ‘গিপ্পি’তে সহকারী পরিচালক ছিলেন সোনম। গডফাদারের সংস্পর্শে থাকায় এর পর বহু ওয়েব সিরিজ এবং শর্ট ফিল্ম পরিচালনা করেছেন তিনি।