তিন সপ্তাহ ধরে ‘পৃথিবীর ফুসফুস’ খ্যাত আমাজান জঙ্গল জ্বলছে। ধারণা করা হচ্ছে, দাবানলের কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। ইতোমধ্যেই পুড়ে গেছে সাত হাজার ৭৭০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা। এদিকে এই জঙ্গলকে বাঁচাতে বিমান থেকে পানি ঢালার উদ্যোগ নিয়েছে বলিভিয়া। আগুন নিয়ন্ত্রণে শুক্রবার থেকে আকাশপথে সুপারট্যাংকার নিয়ে অভিযান শুরু করেছে বলিভিয়া।
বলিভিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট আলভারো গার্সিয়া জানান, দেড় লাখ লিটার পানি বা অগ্নি নির্বাপক নিয়ে উড্ডয়নে সক্ষম ওই সুপারট্যাংকার বোয়িং বিমান। এই বিমান থেকে পুড়তে থাকা আমাজনে পানি ঢালা হবে। তার আগে বিমানবাহিনীর বিমান গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো চিহ্নিত করে আসবে। এরপরই পানি নিয়ে উড়াল দেবে সুপার ট্যাংকার বোয়িং বিমান।
প্রতিবেশী প্যারাগুয়ে ও ব্রাজিলের প্রতিও সীমান্তে আগুন ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে উদ্যোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
জানা গেছে, সুপার ট্যাংকারটির সঙ্গে রয়েছে তিনটি অতিরিক্ত হেলিকপ্টার। এতে রয়েছেন ৫০০ অগ্নিনির্বাপন কর্মী। পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রয়োজনে আমাজন জঙ্গলে নেমে আগুন নেভানোর চেষ্টা করবেন তারা।
পরিবেশবাদীরা বলছেন, আমাজনকে বাণিজ্যের জন্য উন্মুক্ত করার সরকারি নীতির কারণেই আগুন লাগানোর মহোৎসব শুরু হয়েছে। অঞ্চলটিকে ঘিরে করা কয়েকটি গবেষণা প্রতিবেদনে দেখা গেছে, কথিত উন্নয়ন ও প্রবৃদ্ধির জন্য কৃষির বিস্তৃতি, বৈধ ও অবৈধ খনি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ আহরণের জন্য ঘটছে অরণ্য বিনাশ। গড়ে উঠছে সংশ্লিষ্ট অবকাঠামোগত প্রকল্প। গত কয়েক দিনের আগুন কথিত উন্নয়নের জন্য অরণ্য বিনাশের গতিকেই জোরদার করছে বলে প্রতীয়মান হচ্ছে।