রোহিঙ্গারা মালয়েশিয়ায় অনিশ্চিতভাবে দিন কাটাচ্ছে, যেখানে তারা গত ৩০ বছর ধরে আশ্রয়ের খোঁজে পালিয়ে যাচ্ছে। সেখানে আইনগত বৈধতার অভাব তাদের এবং অন্যান্য শরণার্থীদের ও আশ্রয়প্রার্থীদের প্রতিদিনই আরো অনিশ্চিত পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
বৈধভাবে কাজ করার অনুমতি না থাকায়, তারা প্রায়ই মালয়েশিয়ায় গোপনে কাজ করছে। স্বাভাবিকভাবেই সেখানে তারা শোষিত হওয়ার, ঋণের জালে জড়িয়ে পড়ার অথবা কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনায় পড়ার ঝুঁকিতে থাকছে।
রাস্তার ধারে হাঁটলে কিংবা চিকিৎসা সেবা নিতে বাইরে বের হলেও শরণার্থীদের হাজতবাস অথবা চাঁদাবাজির শিকার হওয়ার পরিণতি বরণ করতে হয়।
ইমান হোসেন (২২) ২০১৫ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য ছেড়ে পালিয়ে মালয়েশিয়ার পেনাং-এ আসার আগে কিছুদিন থাইল্যান্ডে ছিলেন। অন্যান্য শরণার্থীদের মতো জীবিকার তাগিদে তিনিও পেনাংয়ে দ্রুত বর্ধনশীল নির্মাণশিল্পে কাজ শুরু করেন।
তিনি গত ১০ সপ্তাহ ধরে কাজের কোনো মজুরি পাচ্ছেন না। তার মালিক তাকে বলেছেন যে, কাজ চালিয়ে যাওয়া ছাড়া তার আর কোনো উপায় নেই; কারণ ওই এলাকায় তিনি থাকেন, আর এই কাজ ছেড়ে দিলে তিনি সর্বস্বান্ত হয়ে যাবেন।
এমএসএফ-এর মিয়ানমার এবং মালয়েশিয়ার অপারেশন ম্যানেজার বেনোয়া দ্য গ্রিজ বলেন, রোহিঙ্গারা যে বৈষম্য আর বঞ্চনার শিকার হচ্ছে, তার অন্তর্নিহিত কারণগুলো নিয়ে কথা বলা এবং তাদেরকে নিরাপদে ফিরে যাওয়ার ব্যবস্থা করার ব্যাপারে গত দুই বছরে খুব সামান্য চেষ্টাই করা হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রোহিঙ্গাদের একটি ভালো ভবিষ্যতের জন্য আন্তুর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত মিয়ানমারের সাথে কূটনৈতিক প্রক্রিয়া দ্বিগুণভাবে চালিয়ে যাওয়া এবং অবিশ্বাস্যভাবে ক্ষমতাহীন হতে থাকা এই জনগোষ্ঠীর একটি বৈধ স্বীকৃতি প্রদান করা।