দেশীয় আইনে আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার তথা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে বিশ্বের জন্য ‘মডেল’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন আইনমন্ত্রী ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ।
শনিবার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস,২০১১’ উপলক্ষে এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের এই বিচার করলে দেশীয় আইনে আন্তর্জাতিক বিচার করা হবে। দেশীয় আইনে আন্তর্জাতিক অপরাধের বিচার হবে পৃথিবীর জন্য একটি নতুন মডেল।
‘মানবাধিকার সংরক্ষণে সম্মিলিত প্রয়াস: তারুণের দাবি’ শীর্ষক এ সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হলে বাংলাদেশ ‘মাফ করা’ সংস্কৃতি থেকেও বেরিয়ে আসতে পারবে বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী।
তিনি আরও বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে। কিন্তু এই বিচার বাধাগ্রস্ত করা চেষ্টা চলছে। স্বাধীনতা ও মানবতা বিরোধীরাই এই যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্য কাজ করছে। তারা আন্তর্জাতিক পর্যায়ে এই কাজ করার জন্য লবিস্ট নিয়োগ করেছে। তিনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক মহলের সহায়তা প্রার্থনা করেন।
ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ বলেন, ‘১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে ধর্মীয় ও রাজনৈতিক কারণে এই দেশের অনেক মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। তারা হাজার হাজার বাড়িঘর জ্বালিয়ে দিয়েছিল। এ কারণে এক কোটি মানুষকে ভারতে আশ্রয় নিতে হয়েছিল। আজ এই অপরাধের বিচার হওয়া প্রয়োজন।’
সবচেয়ে বড় কথা এ বিচার হলে যারা ক্ষতিগ্রস্ত তারা তাদের বিচার পাবে বলে মন্তব্য করেন আইনমন্ত্রী।
আইনমন্ত্রী বলেন, ১৯৪৮ সালের এই দিনে জাতিসংঘে মানবাধিকার সনদ গৃহিত হয়েছিল। ৭২ সালের সংবিধানে মানবাধিকার সনদের যা ছিল তা অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। বর্তমান সরকারও মানবাধিকারকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মিজানুর রহমান, জাতিসংঘে আবাসিক সমন্বয়কারী নিল ওয়াকার, বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইডেনের রাষ্ট্রদূত আনেলি লিনডাল কেনি, বিচারপতি এম ইমান আলী প্রমুখ।