তিস্তা নদীর পানি বণ্টন এবং স্থল সীমান্ত চুক্তির বাস্তবায়ন করা বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারতের অগ্রাধিকারের শীর্ষে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা সফররত ভারতের আইনমন্ত্রী সালমান খুরশিদ। তিনি আরো বলেন, ‘তিস্তা নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।’
শুক্রবার হোটেল সোনারগাঁওয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক অনানুষ্ঠানিক আলাপচারিতায় খুরশিদ এ কথা বলেন।
কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১১৩তম জন্মজয়ন্তী এবং বিদ্রোহী কবিতার ৯০ বর্ষ পূর্তিতে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ভারতের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি ঢাকা এসেছেন।
সফরের দ্বিতীয় দিনে শুক্রবার বিকেলের পর সোনারগাঁও হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে অনানুষ্ঠানিক আলোচনা করেন তিনি। ঢাকায় ভারতের হাইকমিশনার পঙ্কজ শরন ও ডেপুটি হাইকমিশনার সঞ্জয় ভট্টাচার্য এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সালমান খুরশিদ বলেন, ‘বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে নয়াদিল্লির অগ্রাধিকার তালিকার শীর্ষে রয়েছে তিস্তা ও সীমানা নির্ধারণ চুক্তি।’
যত শিগগির সম্ভব এসব ইস্যুর সমাধানে তার দেশের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্তব্য করতে গিয়ে সালমান খুরশিদ বলেন, ‘তিস্তা চুক্তি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের পানি সম্পদ মন্ত্রী তিস্তার পানি বণ্টন ইস্যুতে যত শিগগির সম্ভব, একটি চুক্তি স্বাক্ষরে কাজ করে যাচ্ছেন।’
খুরশিদ বলেন, ‘আমরা মনে করি তিস্তা ইস্যু শুধুমাত্র বাংলাদেশের জন্যই উদ্বেগের কারণ না। এ বিষয়টিতে ভারত সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।’
শুধু তিস্তাই নয়, অন্য অভিন্ন নদীর পানি বণ্টন সমস্যারও সমাধান করা হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘সীমানা নির্ধারণ চুক্তি সংক্রান্ত প্রটোকল ভারতের লোকসভার অনুমোদনের বিষয়টিতেও সংশ্লিষ্ট রাজ্যের ভূমিকা আছে। কেন্দ্রীয় কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন জোট ইউপিএ শুধুমাত্র এর প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে সহযোগিতা করবে।’
খুরশিদ বলেন, ‘নেহেরুর সময়ের পর থেকে ভারতের পররাষ্ট্রনীতি নিয়ে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ কারণে ভারতে কেন্দ্রীয় সরকার পরিবর্তন হলেও প্রতিশ্রুতির কোনো পরিবর্তন হয় না।’
স্থল সীমান্ত চুক্তি লোকসভায় অনুমোদনের সুনির্দিষ্ট কোনো দিনক্ষণের কোনো তথ্য অবশ্য জানাতে পারেননি সালমান খুরশিদ।
‘তবে এজন্য সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে’ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘আগামী সেপ্টেম্বরে অনুষ্ঠেয় অধিবেশনের সময়ে এটি করা হতে পারে।’
মনমোহনের সফরে তিস্তা চুক্তি না হওয়া প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বিষয়টিতে কেন্দ্রীয় সরকার ও পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের মধ্যে কিছুটা ভিন্নমত হয়।’