তিনি বলেন, ‘২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ঘোষাণা হয়েছে। এখন রায় বাস্তবায়নের পালা। রায়ে আসামিদের কারও কারও ফাঁসি, কারো কারো যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। ফাঁসির রায় কার্যকর করতে হলে ডেথ রেফারেন্সের ওপর শুনানি করতে হয় উচ্চ আদালতে। যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত আসামিদের বেলায়ও একই নিয়ম প্রযোজ্য। ডেথ রেফারেন্সের শুনানির আগে সরকারকে এ মামলার পেপারবুক তৈরি করে দিতে হয়। পেপারবুকে মামলার খুঁটিনাটি সব বিষয় থাকে। এটি তৈরির কাজ প্রক্রিয়াধীন আছে। দুই-চার মাসের মধ্যে কাজ শেষ হবে। এর পরই শুনানির জন্য মামলাটি কার্যতালিকায় উঠবে। আশা করছি এ বছরের মধ্যে এসব কাজ পুরোপুরি করা সম্ভব হবে।’
এ মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামিদের বিদেশ থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, ‘আমরা সব সাজাপ্রাপ্ত আসামি, যারা বিদেশে আছেন, তাদের ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করেছি এবং ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। সেখানে অনেক সময় কিছু জটিলতা হয়, সেইসব জটিলতা আমরা নিরসন করার চেষ্টা করছি। আমরা আশা করি, এ রায় কার্যকর করার জন্য তাদের ফিরিয়ে আনা আমাদের পক্ষে সম্ভব হবে।’
কী প্রক্রিয়ায় ফিরিয়ে আনা হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি এর থেকে বেশি আর কিছু বলব না।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘এ মামলার বিচার শেষ করার দায়িত্ব আমাদের। তাদের (আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী) যারা নির্মমভাবে হত্যা করেছে, বাংলাদেশকে যারা দ্বিতীয়বারের মতো হত্যা করতে চেয়েছিল, তাদের সঠিক সাজা দেয়ার ব্যাপারে আদালতকে সহায়তা করা আমাদের দায়িত্ব। আমরা সেই দায়িত্ব পালন করব।’
২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের সমাবেশে ভয়াবহ গ্রেনেড হামলাটি চালানো হয়। অল্পের জন্য ওই হামলা থেকে প্রাণে বেঁচে যান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি, তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা। তবে হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক রাষ্ট্রপতি (প্রয়াত) জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হন। আহত হন দলের তিন শতাধিক নেতাকর্মী। ঘটনার পরদিন মতিঝিল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ফারুক আহমেদ বাদী হয়ে মামলা করেন। তখন ক্ষমতায় ছিল বিএনপি নেতৃত্বাধীন চারদলীয় জোট সরকার।