পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের পরদিন ক্ষমা চাইলেন জাকির নায়েক, তবে …

পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের পরদিন ক্ষমা চাইলেন জাকির নায়েক, তবে …

মালয়েশিয়ায় স্পর্শকাতর ব্যাপারে বিতর্কিত মন্তব্য করার অভিযোগ ওঠার পর ক্ষমা চেয়েছেন মুসলিম ধর্মপ্রচারক জাকির নায়েক। তবে তিনি নিজে কোনো বর্ণবাদী নন এবং শান্তিকামী মানুষ বলে দাবি করেছেন।

বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে জাকির নায়েককে গতকাল সোমবার ১০ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এরপর মঙ্গলবার তিনি এ ব্যাপারে দুঃখপ্রকাশ করেন।

এক ভিডিওবার্তায় জাকির নায়েক বলেন, কুরআনের অর্থ এটিই। বিশ্বজুড়ে শান্তি ছড়িয়ে দেওয়ায় আমার উদ্দেশ্য। যদিও আমি নিজের কথা স্পষ্টভাবে বলে দিয়েছি। আমি মনে করি যে, এই ভুল বোঝাবুঝির কারণে যারা আহত হয়েছেন, সবার কাছে আমি ক্ষমা চাই। আমি চাই না যে, কেউ আমার প্রতি খারাপ ধারণা পোষণ করে রাখুক।

তিনি আরো বলেন, কোনো ব্যক্তি বা সম্প্রদায়কে কখনো আঘাত করা আমার উদ্দেশ্য ছিল না। এটা ইসলামের মূলনীতির বাইরে এবং এই ভুল বোঝাবুঝির জন্য আমি আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী।

এর আগে জাকির নায়েক বলেছিলেন, ‘ভারতের মুসলিম সংখ্যালঘুদের চেয়ে মালয়েশিয়ার হিন্দুরা শতগুণ বেশি অধিকার ভোগ করেন। এছাড়া মালয়েশিয়ার চাইনিজরা দেশটির অতিথি হিসেবে ছিল।’ তার এই মন্তব্যের জেরে বিতর্ক শুরু হয়। একপর্যায়ে মালয়েশিয়ার সাতটি রাজ্যে তাকে প্রকাশ্যে বক্তব্য দেওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

সোমবার এ ব্যাপারে জিজ্ঞাসাবাদের একদিন পর জাকির নায়েক ক্ষমা চাইলেও বলেন, তিনি নিজে সঠিক কথাই বলেছেন। তবে তার বক্তব্যের অপব্যাখ্যা করা হয়েছে। তার ওই বক্তব্যের পুরোটা শোনার জন্যও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে নিজেকে শান্তিকামী মানুষ হিসেবেও দাবি করেন জাকির নায়েক।

এদিকে মালয়েশিয়া পুলিশ জানিয়েছে, মালয়েশিয়ার প্রতিটি রাজ্যে প্রকাশ্যে বক্তব্যে দিতে তাকে নিষেধ করা হয়েছে। রয়েল মালয়েশিয়ার পুলিশের করর্পোরেট যোগাযোগ প্রধান সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার আসমাওতি আহমাদ এ ব্যাপারে বলেন, সব পুলিশ কন্টিনজেন্টকে এমন একটি নির্দেশনা দেয়া রয়েছে। জাতীয় নিরাপত্তা ও সাম্প্রদায়িক ঐক্য বজায় রাখতেই এ ধরনের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।

সূত্র : ইয়াহু ফিন্যান্স

আন্তর্জাতিক