রংপুর রাইডার্সে একসঙ্গে খেলবেন মাশরাফি-সাকিব!

রংপুর রাইডার্সে একসঙ্গে খেলবেন মাশরাফি-সাকিব!

বিপিএলের আগামী আসর নিয়ে ইতিমধ্যেই বেশ জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। নতুন নিয়ম-কানুন ঘোষণা করেছে বিপিএল কমিটি; তবে এতে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর স্বার্থরক্ষা হচ্ছে না। বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল যদিও সব কিছু মানে চুক্তি, নিবন্ধন, বাইলজ, প্লেয়িং কন্ডিশন ও অন্যান্য নিয়ম-কানুন এবং ক্রিকেটার ও কোচ দলে নেয়ার সব প্রক্রিয়া নতুন ভাবে করতে চাচ্ছে, কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো অন্তত দুজন বিদেশি দলে ভেড়ানোর পাশাপাশি দেশের আইকন বা এ প্লাস ক্যাটাগরির তারকাকে আগে থেকে দলে নেয়ার দাবিতে সোচ্চার।

ইতিমধ্যেই রংপুর রাইডার্স দলে টেনেছে ঢাকা ডায়নামাইটস অধিনায়ক সাকিব আল হাসানকে। গত দুই আসর ধরে রংপুরকে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। এখন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিল যদি আলোচনার টেবিলে সব ফ্র্যাঞ্চাইজির বা সংখ্যাগরিষ্ঠ ফ্র্যাঞ্চাইজির আবেদন মেনে নেয়; তখন রংপুর রাইডার্সের হয়ে খেলতে সাকিবের কোনো বাধা থাকবে না। তাহলে মাশরাফি বিন মুর্তজার কী হবে? জাতীয় দলের ওয়ানডে অধিনায়ক কি দল বদল করবেন?

সাকিব-মাশরাফি দুজনেই ‘এ+’ ক্যাটাগরির ক্রিকেটার। এক দলে দুজন আইকন বা এ প্লাস ক্যাটাগরির ক্রিকেটার থাকতে পারবেন না। কিন্তু আজ রংপুর রাইডার্সের সিইও ইশতিায়াক সাদেক জানান, তারা দেশের দুই মহাতারকা মাশরাফি এবং সাকিবকে একই দলে দেখতে ইচ্ছুক! কীভাবে এটা সম্ভব তার ব্যাখ্যা দিয়ে ইশতিয়াক বলেন, ‘মাশরাফি তো আমাদের ঘরের ছেলে। আমি যতটুকু জানি বিপিএলের আগে মাশরাফি যদি অবসর নেয়, তাহলে সে আইকন থাকবে না। আমাদের চিন্তা ছিল আমাদের রিটেনশনে মাশরাফিও পড়ে যায়। তবে মাশরাফি- সাকিব দুজনেই রংপুরে খেলবে।’

বিষয়টা অসম্ভব মনে হলেও আসলে ততটা নয়। ইশতিয়াক সাদেকের কথাতেই এর প্রমাণ আছে, ‘মাশরাফি গত বছর থেকেই আইকন থাকতে চায়নি। কারণ সে টি-টোয়েন্টিতে নেই। তাই নৈতিকভাবে এবং যৌক্তিকভাবে মাশরাফিকে আইকন রাখা যায় না। আইকন হবে নতুন কেউ, খুব প্রমিজিং। বোর্ড বলছে, আমরা নিজেরাও জানি আমাদের দেশে ৭ জন প্রপার আইকন খুঁজে বের করা কঠিন। মাশরাফিরও ইচ্ছা নাই আইকন থাকার। এবং এ বছরও আমি যেটা শুনেছি ওয়ানডে থেকে যদি সে অবসর নেয়, তবে আইকন থাকবে না। আমাদের পরিকল্পনায় কিন্তু মাশরাফিও রিটেনশনে পড়ে যায়। কিন্তু বোর্ড এখানে যদি নতুন নিয়ম আবার এনে দেয়!’

খেলাধূলা