ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন বলেছেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ৫৮ হাজার ৭৪৭ বাসায় অভিযান চালানো হয়েছে। আপনারা যদি আমাকে অবস্থা মূল্যায়ন করতে বলেন তাহলে বলবো, গত কয়েক মাসের তুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে। নতুন করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমছে। আশা করছি, এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে নতুন ওষুধ কাজ করবে।’
মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিশ্ব মশক দিবস উপলক্ষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম তদারকি করতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
মেয়র বলেন, ‘আমরা জুলাই মাস থেকে বাসায় বাসায় গিয়ে এডিস মশার উৎপত্তি ধ্বংস করতে অভিযান চালিয়ে আসছি। সোমবার (১৯ আগস্ট) পর্যন্ত আমাদের এই কর্মসূচির আওতায় ৫৮ হাজার ৭৪৭ বাসায় অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। কমবেশি ১২০০ বাসায় এডিস মশার লার্ভার অস্তিত্ব পাওয়া গিয়েছিল। সেগুলো ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিভিন্ন নির্মাণাধীন ভবনে এডিস মশার লার্ভা পাওয়ায় সেগুলোকে জরিমানা করা হয়েছে। যতক্ষণ পর্যন্ত ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আসে আমাদের এ কার্যক্রম চলবে।’
তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আমরা আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এরই মধ্যে আমাদের স্কাউটের একটি টিম রয়েছে। ডিএসসিসি এলাকায় তাদের সূত্রমতে কমবেশি এক লাখ বাসায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালিয়েছে।’
মশক দিবসের কর্মসূচিতে সাঈদ খোকনডিএসসিসির মেয়র বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগ ও নগরবাসীর সচেতনতা এই দুইয়ের সমন্বয়ে ডিএসসিসি এলাকায় সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাজ করছি। গত কয়েক মাসের তুলনায় ডেঙ্গু পরিস্থিতি স্থিতিশীল হয়েছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েক দিন পরপরই অভিযান চালিয়ে হাসপাতালের চারদিকের অবৈধ দোকান উচ্ছেদ করি। কিন্তু অভিযানের এক ঘণ্টা পর তারা ফের ওই স্থানে বসে। আমাদের কিছু পুলিশ দিলে এর একটা সমাধান হতে পারে।’
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল একেএম নাসির উদ্দিন বলেন, ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা আমাদের হাসপাতালে কিছুটা কমছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ভর্তি হয়েছেন ১২৯ জন রোগী। সর্বমোট ভর্তি আছেন ৫৩৫ জন। এছাড়া প্রতিদিনই রোগী সুস্থ হয়ে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি যাচ্ছেন।