গাড়িচাপায় দুই বাংলাদেশিকে হত্যার পর দুবাই পালাতে চেয়েছিলেন আরসালান পারভেজ। কিন্তু তার পরিবার তাকে আত্মসমর্পণ করতে রাজি করেছিল।
তার পরিবারের সদস্যদের একাংশ দাবি করেছেন, আরসালান চেইনের দুবাইয়ের দোকান দেখাশোনা করতে চেয়েছিল। তবে পরিবারের সিনিয়ররা একত্রিত হয়ে তাকে বুঝতে পেরেছিল যে, আইন থেকে দূরে পালানো বৃথা চেষ্টা।
‘আরসালান অনিচ্ছুক ছিলেন, তবে আমরা আইনকে সম্মান করতে চেয়েছিলাম। তিনি চিন্তিত ছিলেন এবং তিনি যুক্তরাজ্যে উচ্চতর পড়াশোনা করতে পারবে কি না সেটা পুলিশ থেকে বারবার জানতে চেয়েছিলেন।’ বলেন আরসালানের এক পারিবারিক সূত্র।
আরসালানের জাগুয়ার গাড়িটি মার্সিডিজ ই -২২০ ডি-তে ধাক্কা দিয়েছিল এবং তাতে তিন বাংলাদেশি নাগরিক আঘাত পান, যার মধ্যে দুজন মারা যান।
আরসালানকে ভারতীয় দণ্ডবিধির বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং অভিযোগ প্রমাণিত হলে সর্বোচ্চ দশ বছরের সাজা হতে পারে।
পরিবারের সূত্র জানায়, দুর্ঘটনার জায়গা থেকে আরসালান তার বেকবাগান বাড়িতে ফিরে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তার চাচা ও আত্মীয়রা আলাপে বসেছিলেন। আরসালান খুব ভয় পেয়েছিল এবং দুবাই চলে যেতে চেয়েছিল যেখানে গত বছরের নভেম্বরে এই চেইন আল কারামায় একটি ইউনিট খুলেছিল।
পরিবারের অভ্যন্তরীণ ব্যক্তি বলেছেন, এই বছরের শেষের দিকে যুক্তরাজ্যে কোর্স করার পরিকল্পনা নিয়ে আরসালান অত্যন্ত চিন্তিত ছিলেন। তিনি চেয়েছিলেন তাঁর সিনিয়ররা তাকে আশ্বস্ত করুক যে তাঁর গ্রেপ্তার উচ্চ শিক্ষার পথে আসবে না। তারপরে আরসালান আত্মসমর্পণ করেন।