মাশরাফি বিন মুর্তজার অবসর পরিকল্পনা নিয়ে তার সঙ্গে আলোচনা করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। ওয়ানডে অধিনায়ককে বিদায় দিতে বিশেষ পরিকল্পনা থাকায় আগামী দুই দিনের মধ্যেই তার সঙ্গে আলোচনা করবে বিসিবি। যদিও মাশরাফির সময়টা ভালো যাচ্ছেনা এবং তিনি নিজেই বলেছেন তার মধ্যে দেয়ার মত খুব বেশি কিছু নেই। তবে নিজের অবসর ভাবনা নিয়ে কিছু খোলাসা করেননি তিনি।
ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল এই অধিনায়ক ২০১৭ সালে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেন এবং ২০০৯ সালের পর থেকে টেস্ট ক্রিকেটের বাইরে আছেন। দুর্দান্ত ফর্ম নিয়েই ইংল্যান্ড বিশ্বকাপ শুরু করেন মাশরাফি। তবে এই মেগা ইভেন্টে তিনি মোটেই নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি। আট ম্যাচে উইকেট শিকার করেছেন মাত্র একটি। মুলত তারপরই মাশরাফির অবসর গুঞ্জন শুরু হয়।
এমন অবস্থার মধ্যেই তিনি শ্রীলঙ্কা সফরে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু দল দেশ ছাড়ার আগ মুহুর্তে ইনজুরিতে পড়ায় শেষ মুহুর্তে লঙ্কা সফর থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন তিনি। তবে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন এর আগে বলেছিলেন তারা মাশরাফিকে একটি উপযুক্ত বিদায় দিতে চান তারা। দেশের ক্রিকেটে তার অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বিসিবি একটি হোম সিরিজ আয়োজন করতে চায়।
এ বছর যেহেতু দেশের মাটিতে বাংলাদেশ দলের কোন ওয়ানডে সুচি নেই। তাই মাশরাফিকে বিদায় দিতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে ম্যাচ আয়োজন করতে চায় বিসিবি। আফগানিস্তানসহ একটি ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশ নিতে আগামী মাসে বাংলাদেশ সফরে আসবে জিম্বাবুয়ে। উল্লেখ্য, আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেই ২০০১ সালে ওয়ানডে অভিষেক ঘটেছিল মাশরাফির।
বিসিবি বস পাপন জানান, মাশরাফি যদি অবসর নিতে চান তবে কেবলমাত্র তার জন্যই একটি ওযানডে ম্যাচ আয়োজনে জিম্বাবুয়ের সঙ্গে তারা আলাপ করবে। যদিও এই ম্যাচ আয়োজনে বিসিবির বিশাল অঙ্কের অর্থ(প্রায় ৬০ লাখ টাকা) ব্যয় হবে। তথাপি একটি স্মরণীয় বিদায় সম্বর্ধনা দিতে বোর্ড পিছপা হবেনা।
এদিকে মাশরাফির অবসর নিয়ে বিসিবি সভাপতি আজ বৃহস্পতিবার বলেন, ‘এখনো মাশরাফির সঙ্গে আমার কথা হয়নি। অবসরের বিষয়ে তার ভানা জানতে আগামী দুই দিনের মধ্যে আমি তার সঙ্গে কথা বলব। এক ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেরতে জিম্বাবুয়ে রাজি হবে বলে আমরা আশাবাদী।’