শাকিলকে জেল দেওয়ায় পাকিস্তানের অনুদান কমালো যুক্তরাষ্ট্র

শাকিলকে জেল দেওয়ায় পাকিস্তানের অনুদান কমালো যুক্তরাষ্ট্র

ওসামা বিল লাদেনকে খুঁজে পেতে সিআইএকে সহায়তাকারী সেই চিকিৎসক শাকিল আফ্রিদিকে কারাদণ্ড দেওয়ায় পাকিস্তানের তিন কোটি ৩০ লাখ ডলার অনুদান কমিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র সিনেটের একটি প্যানেল।

সিনেটের অ্যাপ্রোপ্রিয়েশন কমিটি জানিয়েছে, শাকিল আফ্রিদিকে দেওয়া ৩৩ বছরের শাস্তির প্রতি বছর এক মিলিয়ন (১০ লাখ) ডলার করে অনুদান কর্তন করা হবে।

চিকিৎসার নামে বিন লাদেনের ডিএনএ সংগ্রহ করে সিআইএকে দেওয়ায় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগে ডা. শাকিলকে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে পাকিস্তানের একটি উপজাতীয় আদালত।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. শাকিল আফ্রিদির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে ‘অন্যায় এবং অন্যায্য’ বলে বর্ণনা করেছেন।

গত বছরের ২ মে পাকিস্তানের গ্যারিসন অ্যাবোটাবাদের একটি কম্পাউন্ডে মার্কিন মেরিনের বিশেষ বাহিনী সিলের অভিযানে নিহত হন আল কায়েদার প্রতিষ্ঠাতা নেতা ওসামা বিন লাদেন।

সিনেট প্যানেল পাকিস্তানের অর্থ অনুদান কর্তনের আগে পাকিস্তানের জন্য হোয়াইট হাউসের বাজেট প্রস্তাবে অনুদান কমানো হয়। আগামী অর্থ বছরে পাকিস্তানের জন্য নির্ধারিত এক হাজার কোটি ডলার অর্থ বাজেট থেকে এ অর্থ কর্তন করা হবে।

এ ব্যাপারে পাকিস্তানকে একটি ‘সিজোফ্রেনিক মিত্র’ বলে উল্লেখ করে রিপাবলিকান সিনেটর লিনডসে গ্রাহাম বলেন, ‘পাকিস্তানকে আমাদের দরকার, পাকিস্তানেরও আমাদেরকে দরকার। কিন্তু দ্বৈতনীতির পাকিস্তানকে আমাদের দরকার নেই যারা বিন লাদেন অধ্যায়ের ইতি ঘটানোকে ন্যায্য মনে করে না।’

এদিকে ডা. শাকিলের কারাদণ্ড হওয়ার প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন বলেন, ‘তাকে এভাবে অভিযুক্ত করা এবং এতো কঠোর শাস্তি দেওয়ায় আমরা দুঃখিত হয়েছি।’

ডা. আফ্রিদি সিআইএকে সহায়তা করেছেন এ কথা স্বীকার করলেও আদালতে তাকে ৩৩ বছরের কারাদণ্ড দেওয়ার তীব্র সমালোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

বিন লাদেন নিহতের পর পাক-মার্কিন সম্পর্কে যে টানাপোড়েন শুরু হয় তাতে নতুন করে ঘৃতাহুতি দেয় গত মার্কিন বিমান হামলায় ২৪ পাকিস্তানি সেনা নিহত হওয়ার ঘটনা।

এর পর আফগানিস্তানে ন্যাটোর রসদ সরবরাহ পথ বন্ধ করে দেয় পাকিস্তান। এর জেরে শিকাগোতে ন্যাটো সম্মেলনে পাকিস্তান আমন্ত্রিত হওয়া অনিশ্চয়তার মুখে পড়ে। শেষ পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট জারদারি শিকাগোতে ন্যাটো সম্মেলনে যোগ দিলেও রসদ সরবরাহ পথ খুলে দেওয়ার ব্যাপারে পাক-মার্কিন সমঝোতা হয়নি।

প্রতিটি লরির জন্য পাকিস্তান ৫ হাজার ডলার ট্রানজিট ফি দাবি করে। ইসলামাবাদের দাবি আগের আড়াইশ’ ডলারের অনেক বেশি হওয়ায় মার্কিন কর্মকর্তারা এতে রাজি হয়নি।

আন্তর্জাতিক