পূর্বঘোষিত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির প্রথম দিনের বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন। কোরবানির প্রথম দিন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১৬ হাজার মেট্রিকটন কোরবানি বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে নগরবাসীকে শতভাগ বর্জ্যমুক্ত করার ঘোষণা দেন মেয়র। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে নগর ভবন প্রাঙ্গণে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ নিয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং এ মেয়র সাঈদ খোকন এ ঘোষণা দেন।
মেয়র বলেছেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন ঈদুল আজহার প্রথম দিনে গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় ১৬ হাজার মেট্রিকটন কোরবানি বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে নগরীকে প্রায় শতভাগ কোরবানি পশুর বর্জ্যমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। তার মধ্যে ঈদুল আজহার প্রথম দিন অর্থাৎ গতকাল সোমবার বিকেল ৩টা হতে দ্বিতীয় দিন মঙ্গলবার ১৩ আগস্ট বিকেল ৩টা পর্যন্ত ১৭টি পশুর হাটের বর্জ্যসহ কোরবানিকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।
মেয়র বলেন, আপনারা জানেন পুরনো ঢাকাবাসী ঈদুল আজহার দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দিনেও পশু কোরবানি দিয়ে থাকেন। তাই এ দুই দিনে আরো ৫ হাজার মেট্রিকটন বর্জ্য উৎপন্ন হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে– যা ডিএসসিসি দ্রুততম সময়ের মধ্যে অপসারণ করবে।
উল্লেখ্য, গত বছর ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে কোরবানি পশুর হাটের সংখ্যা ছিল ১৪টি। ঈদুল আজহার তিন দিনে করপোরেশন মোট ১৯ হাজার ২০০ মেট্রিকটন বর্জ্য অপসারণ করেছিল। এ বছর যেহেতু হাটের সংখ্যা ১৭টি। তাই বর্জ্যের পরিমাণও কিছুটা বেড়েছে। এ বছর কোরবানি বর্জ্য অপসারণের পরিমাণ দাঁড়াবে ২১ হাজার মেট্রিকটন।
মেয়র মোহাম্মদ সাঈদ খোকন নাগরিক সমাজসহ সম্মানিত নগরবাসীদের বর্জ্য অপসারণ কাজে করপোরেশনকে সহযোগিতাদানের জন্য আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানান। তিনি সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরও ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, আপনাদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং নাগরিকদের সহযোগিতার ফলেই নগরীকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্যমুক্ত করার এ চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব হয়েছে। তিনি ডিএসসিসির আওতাধীন এলাকার নাগরিকদের কোরবানি বর্জ্য অপসারণ সেবা পেতে ০১৯৬১১০০০৯৯৯ হটলাইন নম্বরে ফোন করার অনুরোধ জানান।
প্রেসি ব্রিফিং অনুষ্ঠানে নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি হিসেবে কলামিস্ট ও লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ, করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর জাহিদ হোসেনসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নগরীর বর্জ্য অপসারণের কাজে নিয়মিত এবং অতিরিক্ত মিলে মোট ৯৫০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করছে। বর্জ্য অপসারণে ব্যবহার হচ্ছে ১৫২টি খোলা ট্রাক, ৮২টি কন্টেইনার বক্স, ২৯টি পানির গাড়ি, ২৩টি পে লোডার, ১২টি টায়ার ডোজারসহ নানা ধরনের যান ও যন্ত্রপাতি। এ ছাড়া নাগরিকদের জন্য করপোরেশনের পক্ষ থেকে বিনামূল্যে বর্জ্যব্যাগ সরবরাহ করা হয়েছে। পরিবেশ দূষণরোধে কোরবানির স্থানটি ভালোভাবে ধূয়ে দেওয়ার জন্য ১৮০০ লিটার ব্লিচিং পাউডার ব্যবহার করা হয়েছে।
মেয়র বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর নাগরিকদের বেশি পরিমাণ করপোরেশন কর্তৃক দেওয়া বর্জ্য ব্যাগ ব্যবহার করেছেন।