ঈদে যাঁরা বাড়ি গেছেন, তাঁদের কর্মস্থলে ফেরা ঈদযাত্রার মতোই স্বস্তিকর হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক, পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ সোমবার নিজ জেলা নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বড় রাজাপুর গ্রামের বাড়ির সামনের মসজিদে ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করেন কাদের। তারপর সেখানে থাকা সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের আজ বলেন, ঈদযাত্রার সময় নদীতে তীব্র স্রোত এবং ভারী বৃষ্টির জন্য চলাচল কিছুটা বিঘ্নিত হয়েছে। এরই মধ্যে সড়কে পশুবাহী গাড়ির জন্যও চলাচলে কোথাও কোথাও সমস্যা হয়েছে। এ ছাড়া দেশের বেশির ভাগ রুটই ভালো ছিল। শুধু ঢাকা-টাঙ্গাইল রুটে বঙ্গবন্ধু সেতুর ওপারে নলকা পর্যন্ত সমস্যা হয়েছে, তবে সেটা গতকাল ঈদের আগের দিন ছিল না।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘শেষটা যার ভালো, সেটাই তার ভালো, শেষ পর্যন্ত মানুষ স্বস্তিতে ফিরেছে।’ এ সময় তিনি আরও বলেন, ‘ঈদের দিনে এটাই আমাদের প্রার্থনা—বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ দেশ থেকে সাম্প্রদায়িক অপশক্তির মূল উৎপাটন করা।’
আজ কাদেরের সঙ্গে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরী, বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জা ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান।
নামাজ শেষ করে মন্ত্রী তাঁর বাবা-মায়ের কবর জিয়ারত করেন এবং স্থানীয় মুসল্লি ও নেতা-কর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
সিঙ্গাপুরে ২ মাস ১০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত ১৫ মে দেশে ফেরেন ওবায়দুল কাদের। অসুস্থ হওয়ার পর ৫ মাস ৬ দিন পর তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকায় এলেন এবার।