যেখানে-সেখানে কোরবানির বর্জ্য না ফেলার আহবান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম। একইসাথে তিনি সিটি কর্পোরেশনের নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু জবাই করার জন্য নগরবাসীর প্রতি আহবান জানান।
রবিবার (১২ আগস্ট) রাজধানীর ভাষানটেক ও তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট খেলার মাঠের পশুর হাট পরিদর্শনকালে এ আহবান জানান।
পশু কোরবানির বর্জ্য কোনভাবেই যাতে কেউ ড্রেনে বা ম্যানহোলে না ফেলে সেদিকে এলাকাবাসীকে সজাগ দৃষ্টি রাখার আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, “আপনারা ডিএনসিসি’র সরবরাহকৃত ব্যাগে বর্জ্য ভরে নির্দিষ্ট স্থানে রেখে দিন, আমাদের কর্মীরা দ্রুততম সময়ে সেটি অপসারণ করবে।”
মেয়র বলেন, ড্রেন বা যত্রতত্র আবর্জনা ফেললে সেটি পরিষ্কার করা দুরূহ হয়ে পড়বে এবং জনস্বাস্থ্যের জন্য তা ক্ষতিকর হয়ে উঠবে। নিজেদের এলাকা পরিচ্ছন্ন রাখতে নিজেদের সচেতনতার কোন বিকল্প নেই বলেও মেয়র উল্লেখ করেন।
এদিকে, ডিএনসিসি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের আওতায় সংস্থার নিজস্ব ২ হাজার ৪০০ জন ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় ১ হাজার ৪৩৫ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করবে। এছাড়া আরো ১ হাজার ১০০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও বাসা-বাড়ি থেকে ভ্যান সার্ভিসের মাধ্যমে বর্জ্য সংগ্রহ করার জন্য প্রায় ৪ হাজার ৫০০ জন শ্রমিক কোরবানির বর্জ্য অপসারণের জন্য নিয়োজিত করা হয়েছে।
ঈদের দিন হতে কোরবানির পশুর বর্জ্য নিরবচ্ছিন্নভাবে অপসারণের জন্য ডাম্প ট্রাক ও খোলা ট্রাক ১৬৯টি, ভারি যান-যন্ত্রপাতি ২৮টি, পানির গাড়ি ১১টি, বেসরকারি ৮২টি এবং ভাড়ায় ১৪৮টি পিকআপভ্যানসহ মোট ৪৩৮টি গাড়ি নিয়োজিত থাকবে। কোরবানির পশুর বর্জ্য দ্বারা যাতে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি না হয় সে লক্ষ্যে কুরবানির স্থানে ১০টি ওয়াটার বাউজার দিয়ে তরল জীবানুনাশক মিশ্রিত পানি স্প্রে করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।