রাশিয়ায় রকেট বিস্ফোরণের কারণে পাঁচজন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও আটজন। এর মধ্যে তিনজনের অবস্থা গুরুতর। রাশিয়ান নৌবাহিনীর একটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্রে দুর্ঘটনাটি ঘটে। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার বিকেলে উত্তরপূর্ব রাশিয়ার সেভেরডভিন্সেক শহর থেকে কিছুটা দূরে বিশেষ ধরনের রকেট ইঞ্জিনের পরীক্ষা চলছিল। সে সময় আচমকা দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন ওই এলাকার মানুষেরা।
স্থানীয় সূত্রের বরাতে জানা গেছে, নিয়েন্সাকা থেকে প্রায় ৪৭ কিলোমিটার দূরে সেভেরডভিন্সেক শহর সংলগ্ন নৌসেনার পরীক্ষা কেন্দ্রে ওই রকেট ইঞ্জিনটির পরীক্ষা হচ্ছিল। হঠাৎ বিস্ফোরণ ঘটে। প্রথমে ২ জন নিহত ও ৬ জন আহত হয়েছে বলে জানা যায়। পরে আরও তিনজনের মৃত্যু হয়। রোসাটমের পক্ষে জানানো হয়েছে, নিহতরা সবাই পরমাণু বিজ্ঞানী।
রোসাটমের সূত্রে খবর, ওই ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষাকেন্দ্রে রকেট ইঞ্জিনের জ্বালানি নিয়ে পরীক্ষা চালানো হচ্ছিল। সে সময় আচমকা দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিমেষের মধ্যে ওই রকেটের ইঞ্জিনে থাকা তেজস্ক্রিয় তরল আশপাশের এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এর ফলে স্থানীয় পরিবেশে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক বেড়ে যায়। তবে প্রায় কয়েক ঘণ্টা পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যায়। ওই এলাকার নিকটবর্তী ‘হোয়াইট সি’ নামে পরিচিত সমুদ্রের একটি অংশে কাউকে যেতে দেওয়া হচ্ছে না। ওই এলাকার পানিতে তেজস্ক্রিয় পদার্থ মিশেছে বলে সন্দেহ করছেন গবেষকরা।
এদিকে অভিযোগ উঠেছে, বৃহ্স্পতিবার রাতে দুর্ঘটনাটি ঘটলেও প্রশাসন বিষয়টি প্রথমে প্রকাশ্যে আনতে চায়নি। কেউ কেউ বলেছেন, ওই পরীক্ষাগারে বিভিন্ন গোপনীয় অস্ত্র নিয়ে পরীক্ষা করা হয়। যেগুলির মধ্যে অনেক তেজস্ক্রিয় পদার্থও থাকে। এবার সেই ধরনের কোনও জিনিস নিয়ে পরীক্ষা চালানোর সময় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এরপর গোটা এলাকায় তেজস্ক্রিয়তা ছড়িয়ে পড়ে। ভয়ে নিজেদের বাড়ি ছেড়ে পালাতে থাকেন স্থানীয় বাসিন্দারা।