ভারতে কংগ্রেসের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকেও সভাপতি ঠিক করতে পারেনি কংগ্রেস। তাই অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি হিসেবে ফের দলের দায়িত্বে ফেরানো হলো সোনিয়া গান্ধীকে। শনিবার সন্ধ্যায় দলের শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে দিল্লিতে বৈঠক বসেছিল কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির। সেখানেই এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে।
কংগ্রেস সূত্রে জানা গেছে, এ দিন রাহুল গান্ধীকে ফিরে পেতে আগ্রহী ছিলেন শীর্ষ নেতৃত্বের একাংশ। কিন্তু পদত্যাগপত্র তুলে নিতে রাজি হননি তিনি। এমন অবস্থায় রাজীব জায়ার দ্বারস্থ হন দলের নেতারা। যত দিন পর্যন্ত না রাহুলের বিকল্প পাওয়া যাচ্ছে, তত দিন পর্যন্ত তাকে দায়িত্ব নিতে অনুরোধ করা হয়, যা ফেলতে পারেননি সোনিয়া। তারপরই এত দিন ধরে পড়ে থাকা রাহুল গান্ধীর পদত্যাগপত্র গৃহীত হয়।
রাহুল গান্ধীর উত্তরসূরি হিসেবে এত দিন অনেকেরই নাম উঠে আসছিল যাদের মধ্যে দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন মুকুল ওয়াসনিক এবং মোদী সরকারের প্রথম দফায় লোকসভায় বিরোধী নেতার দায়িত্ব পালনকারী মল্লিকার্জুন খড়্গে। তবে শেষ মেশ সেই গান্ধী পরিবারেই হাতেই কংগ্রেসের দায়িত্ব গেল।
এদিন বিকেল পর্যন্ত যদিও সের কম কোনো ইঙ্গিত মেলেনি। এমনকি সভাপতি বাছাই নিয়ে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে পর্যন্ত যোগ দিতে চাননি সোনিয়া এবং রাহুল গান্ধী। কিন্তু দলীয় নেতৃত্বের অনুরোধ ফেলতে পারেননি তারা।
এ বছর লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পর ব্যর্থতার দায় নিয়ে কংগ্রেস সভাপতির পদ থেকে সরে দাঁড়ান রাহুল গান্ধী। গান্ধী পরিবারের বাইরের কাউকে দায়িত্ব বসানোর পরামর্শ দেন তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বকে। সেই থেকে সভাপতির খোঁজ চলছিল কংগ্রেসের ভেতরে। তবে যত দিন পর্যন্ত উপযুক্ত কাউকে না পাওয়া যায় তত দিন অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতির দায়িত্ব সামালানোর জন্য কাউকে আনার পরামর্শ দিয়েছিলেন শশী তারুরসহ দলের অনেক প্রবীণ নেতারা। শেষমেশ সেই পথেই হাঁটল দেশের প্রাচীনতম রাজনৈতিক দল।