ভারত রত্ন সম্মান পেলেন সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি। তাকে ভারতের সর্বোচ্চ নাগরিক হিসেবে সম্মান দেওয়ার ব্যাপারে গত ২৫ জানুয়ারি ঘোষণা করেছিলেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপতি ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে তাকে সেই সম্মান দেওয়া হয়। এর আগে ২০০৮ সালে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান পদ্ম বিভূষণ দেওয়া হয় প্রণব মুখার্জিকে।
মরণোত্তর ভারত রত্ন দেওয়া হয়েছে প্রয়াত গায়ক ভূপেন হাজারিকা ও প্রয়াত সমাজসেবী নানাজি দেশমুখকে। প্রায় পাঁচ দশকের রাজনৈতিক জীবন প্রণব মুখার্জির। বীরভূমের কীর্ণাহারের ব্রাহ্মণ পরিবার থেকে উঠে আসা এই মানুষটির সেই যাত্রাপথ অভিজ্ঞতা ও উপলব্ধিতে ঠাসা।
১৯৮৪ সালে ইন্দিরা গান্ধীর আমলে সারাবিশ্বের সেরা পাঁচ অর্থমন্ত্রীর মধ্যে প্রথম হয়েছিলেন তিনি। পরবর্তী সময়ে ১৯৯১ সালে কেন্দ্র-রাজ্য আর্থিক বন্টনের সূত্র নির্ধারণে তার ভূমিকা ছিল অন্যতম। সেই সূত্রকে এখনো গ্যাডগিল-মুখার্জি সূত্র বলা হয়।
কেন্দ্রে ইউপিএ আমলের দুই মেয়াদেই প্রণব মুখার্জির ভূমিকা ছিল অনন্য। অনেকে বলতেন, অঘোষিত নম্বর টু হলেও, আদতে সরকার চালিয়েছেন তিনি।
এমনিতেই দলমত নির্বিশেষে তার ব্যক্তিগত গ্রহণযোগ্যতা ছিল ঈর্ষা করার মতোই। প্রথম ইউপিএ জমানায় বামদের সঙ্গে সমন্বয় করা আর দ্বিতীয় জমানায় শরিক দলগুলোর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার তিনিই ছিলেন সেতু।
রাষ্ট্রপতি ভবনের দরবার হল আজ ছিল কানায় কানায় পূর্ণ। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ থেকে শুরু করে সরকারের শীর্ষ মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। প্রণব মুখার্জির মেয়ে শর্মিষ্ঠা মুখার্জিকেও দেখা যায় প্রথম সারিতেই বসে থাকতে। তবে গান্ধী পরিবারের কাউকেই এ দিনের অনুষ্ঠানে দেখা যায়নি।