টানা ১০ দিনের বৃষ্টিতে ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে ভারতের উত্তর কর্নাটকে। বন্যার পানি থেকে রক্ষা পেতে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা আমগাছে কাটালেন এক দম্পতি।
ঘটনাটি ঘটে বেলাগাভি শহর থেকে কিছুটা দূরের কাবালাপুর গ্রামে। কর্ণাটকের প্রায় ৮২ হাজার ২০৭ হেক্টর জমি এখনো পানির নিচে তলিয়ে আছে। বন্যার পানির তোড়ে ভেসে গেছে প্রায় ১৬২ গ্রাম।
কাবালাপুর গ্রামের পরিস্থিতিও একই। ভেসে গেছে সেখানকার ঘরবাড়ি। গত সোমবার কাবালাপুর গ্রামের একটি খামার বাড়িতে ঘুরতে গিয়েছিলেন কাদাপ্পা ও রত্নাভা নামে ওই দম্পতি। পরের দিন সকালেই তারা বুঝতে পারেন যে ওই এলাকায় ঢুকে পড়েছে বন্যার পানি। পানিরর উচ্চতা ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করলে তারা বাড়ির ছাদে উঠে আসেন। বন্যার পানির উচ্চতা বেড়ে প্রায় ৮–১০ ফুট হতেই আর কোনো রাস্তা না পেয়ে গাছে উঠতে বাধ্য হন তারা।
তাদের উদ্ধারের করতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি উদ্ধারকারী দল পাঠানো হয়। কিন্তু পানির স্রোত এতটাই বেশি ছিল যে উদ্ধারকারী দল ওই অঞ্চলে পৌঁছাতেই পারেনি। তারপর দমকল বাহিনীর একটি উদ্ধারকারী দলকে পাঠানো হয়।
উদ্ধারকার্যে ওই অঞ্চলের মৎস্যজীবিদের সাহায্য নিতে গিয়ে তারাও ভেসে যান স্রোতে। সহকারী কমিশনার কবিতা যোগাপ্পানাভার জানান, ভারী বৃষ্টির কারণে ওই দম্পতিকে পাহাড়ের কাছে অবস্থিত বল্লারি নালার খামার বাড়িতে যেতে বারণ করা হয়েছিল। তারা শোনেননি। মঙ্গলবার সকাল ১১ টা থেকে তারা গাছে চড়ে থেকেছেন। পরে তাদের উদ্ধার করা হয়।