জাতীয় কবি নজরুল ইসলামের ১১৩তম জন্মজয়ন্তীতে তার মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দিনের কর্মসূচি।
শুক্রবার সকালে মন্ত্রী আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে তথ্য ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার, নজরুল ইনস্টিটিউট, বাংলা একাডেমীর মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খানের নেতৃত্বে বাংলা একাডেমী, শিল্পকলা একাডেমী, নজরুল একাডেমি, নজরুল আবৃত্তি পরিষদ, নজরুল সঙ্গীত শিল্পী পরিষদ, গণগ্রন্থাগার অধিদফতর, জাতীয় জাদুঘর, শামছুন্নাহার হল, রোকেয়া হল, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতর, প্রমীলা নজরুল সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীসহ রাজধানীর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে কবিকে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
বিএনপির পক্ষে কবির মাজারে শ্রদ্ধা জানান দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
এ সময় মঈন খান বলেন, আমাদের কবি নজরুল ছিলেন সাম্যের কবি। তাঁর চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশ সেবায় সকলকে আত্মনিয়োগ করতে হবে।জাতীয় কবির চেতনা আমাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে নেতৃত্বে সকালে শোভাযাত্রাসহ কবির মাজারে যায় শিৰার্থীরা। পরে মাজার প্রাঙ্গণে এক স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে সভায় কবির জীবন ও কর্মের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-অর-রশিদ, ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটির উপাচার্য আবদুল মান্নান চৌধুরী ও শিক্ষকবৃন্দ।
কবি নজরুলের নাতনী খিলখিল কাজী বলেন, কবি নজরুল আজ দেশবাসী ও বিশ্ববাসীর সম্পদ। নানা ভাষায় অনুবাদের মাধ্যমে তিনি বিশ্বব্যাপী সমাদৃত।তার চেতনা বাস্তবায়ন করলেই তার বিদেহী আত্না শান্তি পাবে।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের পক্ষে সভাপতি বদিউজ্জামান সোহাগের নেতৃত্বে ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীরা ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
নজরুলের সমাধীর পাশে নজরুল কর্নারে একটি মঞ্চ করা হয়। এই মঞ্চে দেশের বিশিষ্ট শিল্পীরা নজরুল সঙ্গীত পরিবেশন করেন।বিশ্ব বাঙালী সম্মেলন নামের একটি সংগঠন আলোচনা সভার আয়োজন করে। বাংলাদেশ নজরুল আবৃত্তি পরিষদ ও শিবালয় সংগঠন নজরুলের চেতনা বাস্তবায়ন ও কোন একটি মুদ্রায় কবির ছবি ব্যবহারের দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে।
অন্যদিকে জাতীয় কবির ‘বিদ্রোহী’ কবিতার ৯০ বছর পূর্তিতে তাঁর ১১৩তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনে বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ আয়োজনে রাষ্ট্রীয়ভাবে আজ থেকে ঢাকায় দু’দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন হচ্ছে।
জাতীয় কবির জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া আলাদা বাণী দিয়েছেন। দিনটি উপলক্ষে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে দেশব্যাপী নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকায় শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমী, নজরুল ইনস্টিটিউট ও জাতীয় জাদুঘরেও বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে।
বাংলা একাডেমীতে আজ শুক্রবার বিকাল চারটায় একাডেমীর সেমিনার কক্ষে আলোচনা সভা, আবৃত্তি ও সঙ্গীতানুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। শিল্পকলা একাডেমি আয়োজন করেছে দু’দিনের অনুষ্ঠান।
নজরুলের জন্মদিন উপলক্ষে শুক্রবার ও শনিবার ছায়ানট দু’দিনব্যাপী নজরুল উৎসবের আয়োজন করেছে। ছায়ানট সংস্কৃতি ভবন মিলনায়তনে হবে এই অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে থাকবে বক্তৃতা, গান, পাঠ, আবৃত্তি ও নৃত্য।
কবির জন্মবার্ষিকী উদযাপনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, তাদের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন, সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কর্মসূচি আয়োজন করছে।