বিসিবির সংক্ষিপ্ত তালিকায় হেসন আছেন। তিনি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সংক্ষিপ্ত তালিকাতেও আছেন। হেসন তবে কোন দলের কোচ হচ্ছেন?
প্রধান কোচের যে সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), তাতে আছে মাইক হেসনের নাম। আরেক প্রার্থী রাসেল ডমিঙ্গো সাক্ষাৎকার দিয়ে গেছেন কাল। গুঞ্জন আছে রাসেলের চেয়ে বিসিবি বেশি আগ্রহ নাকি হেসনকে নিয়েই। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের সাবেক এ কোচের যে আগ্রহ ভারত কিংবা পাকিস্তানের দিকে।
নিউজিল্যান্ডের পত্রিকা ‘স্টাফ’ আজ ‘ভারত, পাকিস্তানের কোচ হওয়ার দৌড়ে সাবেক ব্ল্যাক ক্যাপস কোচ’ শিরোনামে একটা খবর প্রকাশ করেছে। সেখানে তারা জানিয়েছে, হেসন ভারত কিংবা পাকিস্তান দলের কোচ হওয়ার দৌড়ে ভালোভাবেই আছেন। তিনি আইপিএলের দল পাঞ্জাবের চাকরিটা ছেড়ে দিয়েছেন। নিশ্চিত না হলে নিশ্চয়ই পাঞ্জাবের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজি দলের চাকরি ছাড়তেন না! যদিও হেসন নতুন কোনো দলের কোচ হওয়ার ব্যাপারে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ভারতের প্রধান কোচ চূড়ান্ত করতে তিন সদস্যের ক্রিকেট উপদেষ্টা কমিটি (সিএসি) যে সংক্ষিপ্ত তালিকা করেছে সেখানে হেসনের নাম আছে। বাকি দুজন—বর্তমান কোচ রবি শাস্ত্রী আর অস্ট্রেলিয়ার টম মুডি। ভারতের কোচ যদি নাও হতে পারেন, হেসনের জন্য পাকিস্তানের দুয়ারও খোলা থাকছে। মিকি আর্থার পর্ব শেষ হওয়ার পর পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) কোচের সন্ধানে আছে। দুইয়ে দুইয়ে চার মিলিয়ে ‘স্টাফ’ বলছে, ভারত কিংবা পাকিস্তান যেকোনো একটি দলের প্রধান কোচ হিসেবে দেখা যেতে পারে তাঁকে।
এই খবরে বিসিবির কোনো কর্মকর্তা অবশ্য মন্তব্য করতে চাননি। তবে ক্রিকেট বোর্ডের মিডিয়া কমিটির প্রধান জালাল ইউনুস নিশ্চিত করেছেন, তাঁদের সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা হেসনের সাক্ষাৎকার শিগগির হচ্ছে না। ঈদের আগে তো নয়ই। তবে হেসনকে পেতে বিসিবি ভীষণ আগ্রহী। এখন হেসনের চোখ যদি ভারত-পাকিস্তানের দিকেই থাকে, তাঁকে পাওয়া যে সহজ নয়, সেটিও স্বীকার করছেন বিসিবির কর্তারা। ছয় বছর কিউইদের কোচ ছিলেন, হেসনের অধীনেই ২০১৫ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড। খেলেছে ২০১৬ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল। ২০১৮ সালের এপ্রিলে টেস্টে কিউইদের র্যাঙ্কিংয়ে তিনে ওঠাও তাঁর অধীনে।