বাংলাদেশ টেলিভিশনের ‘আনন্দমেলা’ অনুষ্ঠানে ১৫ বছর পর নেচেছেন জনপ্রিয় তারকা তারিন। অনুষ্ঠানটির রেকর্ডিং শেষ হওয়ার পর তারিন বলেন, ‘প্রায় ১৫ বছর পর পারফর্ম করেছি। খুব ভালো লাগছে। আরও ভালো লাগছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের সেট ডিজাইন আর অনুষ্ঠান উপস্থাপনার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত উন্নতি দেখে। আমার বিশ্বাস, বাংলাদেশ টেলিভিশনের এই পরিবর্তন অন্য শিল্পীদেরও মুগ্ধ করবে, সবাই আবার বিটিভিমুখী হবেন।’ তিনি ‘আনন্দমেলা’র পরিকল্পনার প্রশংসা করেন।
এই অনুষ্ঠানে গুজরাটি গানের সঙ্গে নৃত্য পরিবেশন করেছেন তারিন। এর কোরিওগ্রাফি করেছেন ইভান শাহরিয়ার সোহাগ।
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাংলাদেশ টেলিভিশনে আগামী সোমবার রাত ১০টার ইংরেজি সংবাদের পর ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘আনন্দমেলা’ প্রচারিত হবে। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন মাহফুজা আক্তার।
আগেই জানা গেছে, এবার নানা বৈচিত্র্যে সাজানো হয়েছে ‘আনন্দমেলা’। উপস্থাপনা করছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া চিত্রনায়িকা পপি ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস। এবারই প্রথম উপস্থাপনা করেছেন পপি। উপস্থাপনার পাশাপাশি পপি ও ফেরদৌস দুটি গানের সঙ্গে পারফর্ম করেছেন। পপি নেচেছেন তাঁর অভিনীত ‘রানীকুঠির বাকি ইতিহাস’ ছবির ‘আমার মাঝে নেই এখন আমি’ আর ফেরদৌস পারফর্ম করেছেন তাঁর অভিনীত ‘হঠাৎ বৃষ্টি’ ছবির ‘সোনালি প্রান্তরে’ গানের সঙ্গে। উপস্থাপকদের সঙ্গে অংশ নিয়েছেন অভিনেতা আল মনসুর।
চিত্রনায়িকা পপি বলেন, ‘ঈদের সময় “আনন্দ মেলা” অনুষ্ঠান দেখার জন্য পরিবারের সবাই মিলে বসে থাকতাম। অনেক বরেণ্য ব্যক্তি এই অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, আবেদ খান, জুয়েল আইচ, আনিসুল হকের মতো ব্যক্তিত্ব উপস্থাপনা করেছেন এখানে। সেই অনুষ্ঠানের অংশ হতে পেরে সত্যিই অনেক আনন্দ লাগছে। দর্শকেরা যাতে ভালো একটি অনুষ্ঠান উপহার পান, সেই চেষ্টা করেছি।’ আর ফেরদৌস বলেছেন, ‘“আনন্দমেলা”র উপস্থাপনা আগেও করেছি। পারফরমেন্সও করেছি। প্রতিবার চেষ্টা করেছি ভিন্ন কিছু করার। এবারও সেই চেষ্টা ছিল। পপির সঙ্গে উপস্থাপনা দারুণ উপভোগ করেছি। আশা করছি, দর্শকদেরও ভালো লাগবে।’
‘আনন্দমেলা’র সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানা গেছে, চিরকুট ‘আহা জীবন’, ‘না বুঝি দুনিয়া’ আর ‘কানামাছি’ গানের কোলাজ গেয়েছে এই অনুষ্ঠানে। চিশতি বাউল গেয়েছেন ‘যদি থাকে নসিবে’। শচীন দেববর্মনের ‘বর্ণে গন্ধে ছন্দে গীতিতে হৃদয়ে দিয়েছ দোলা’ গানটি নতুন সংগীতায়োজনে গেয়েছেন ফাতেমা তুজ্ জোহরা। শিবলী মহম্মদ ও শামীম আরা নিপা তাঁদের নাচের দল নৃত্যাঞ্চলের অর্ধশত শিল্পীকে নিয়ে পরিবেশন করেছেন একটি মিউজিক্যাল ড্যান্স।
বাংলাদেশের ফুটবলে প্রথম নারী রেফারি জয়া চাকমা আন্তর্জাতিক ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। তাঁকে নিয়ে থাকছে তথ্যচিত্র। এ ছাড়া বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ও শিল্পকলা একাডেমির ৯০ জন শিশুশিল্পীর অংশগ্রহণে থাকছে যন্ত্রসংগীত পরিবেশনা।
সমাজের নানা অসংগতি আর জীবনের নানা ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে থাকছে কয়েকটি নাট্যাংশ। এসব নাট্যাংশে অভিনয় করেছেন মাজনুন মিজান, আইরিন আফরোজ, নীলাঞ্জনা নীলা, শ্যামল জাকারিয়া, আহসানুল হক মিনু, গাজী রোকন, মনিরুজ্জামান, সুজাত শিমুল প্রমুখ।