কাশ্মীরের ক্রিকেটের কী হবে এখন?

কাশ্মীরের ক্রিকেটের কী হবে এখন?

রাজনৈতিক ক্রান্তিলগ্ন চলছে ভারত অধিকৃত কাশ্মীরে। ৩৭০ ধারা রদ করে দিয়েছে ভারতের সরকার। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে চায়ের দোকানে চলছে সমালোচনা, পাল্টা সমালোচনার ঝড়। সংবিধান বদলে ফেলার পাশাপাশি এবার কাশ্মীরের ক্রিকেটেও বড়সড় রদবদল। হাইকোর্ট নিযুক্ত বিসিসিআইয়ের প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান বিনোদ রাই মঙ্গলবার জানিয়েছেন, লাদাখের ক্রিকেটাররা এবার কাশ্মীরের হয়ে খেলতে পারবেন।

গত সোমবার উপত্যকা বিভক্ত করে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মর্যাদা দিয়েছে জম্মু-লাদাখ এবং কাশ্মীরকে। তারপরে বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ক্রিকেট বোর্ড আপাতত ভাগাভাগি হচ্ছে না। একই থাকছে। বিনোদ রাই বলেন, আপাতত লাদাখের কোনো আলাদা ক্রিকেট বোর্ড গঠন করা হচ্ছে না। বোর্ডের সমস্ত ঘরোয়া প্রতিযোগিতায় লাদাখের ক্রিকেটাররা জম্মু-কাশ্মীরের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করতে পারবে।

ঘটনাক্রমে এখনও পর্যন্ত জম্মু-কাশ্মীর দলে লাদাখের কোনো ক্রিকেটার নেই। ডিসেম্বর মাস থেকেই রনজি ট্রফি শুরু হয়ে যাওয়ার কথা। বিনোদ রাইকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, পুদুচ্চেরির মতো লাদাখ কি বোর্ডের ভোটিং মেম্বার হতে পারবে কিনা! তিনি জানান, এই বিষয়ে আপাতত কোনো আলোচনা হয়নি।

বিনোদ রাইয়ের ভাষায়, ‘সেরকম ধরনের কোনোকিছুই আলোচনা হয়নি। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল চণ্ডীগড়ের মতোই অনেকটা এই বিষয়। সেখানকার ক্রিকেটাররা পাঞ্জাব অথবা হরিয়ানার প্রতিনিধিত্ব করে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে। গতবারের মতোই জম্মু-কাশ্মীরের ক্রিকেটাররা শ্রীনগরে নিজেদের হোম ম্যাচ খেলবে। বিকল্প কোনো ভেন্যুর বিষয়েও কোনো আলোচনা হয়নি।’

সম্প্রতি জঙ্গি হানার আশঙ্কা থাকায় শ্রীনগরের ক্রিকেট ক্যাম্প থেকে সমস্ত ক্রিকেটার থেকে কোচ এবং সাপোর্ট স্টাফদের বাড়ি ফিরে যেতে বলা হয়েছিল। জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার তথা বর্তমান কাশ্মীর দলের মেন্টর ইরফান পাঠানও কাশ্মীর ছেড়ে গুজরাটে ফিরে গেছেন।

খেলাধূলা