ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এডিস মশা ভয়ংকর। কামড় দিতে চেহারার দিকে তাকাবে না। সুযোগ পেলে সবাইকে কামড়াবে। ডেঙ্গু এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি।
আজ মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের বিশেষ জরুরি বর্ধিত সভায় এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।
নেতা-কর্মীদের উদ্দেশ্যে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা কয়েকটি জায়গায় প্রোগ্রাম করলাম। এতে কিন্তু এডিস মশা ধ্বংস হবে না, উৎসমুখ বন্ধ হবে না। ডেঙ্গু রোগের বিস্তারও রোধ করতে পারব না। এ জন্য ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমাদের সতর্ক ও সচেতন থাকতে হবে। মশার প্রজনন ধ্বংস করার পূর্ব শর্ত হচ্ছে পরিষ্কার ও পরিচ্ছন্নতা। তাই আমাদের পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি অব্যাহত রাখতে হবে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতা অভিযানে আওয়ামী লীগের ওয়ার্ড সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকেরা কাউন্সিলদের সহযোগিতা করবেন। এডিস মশা ভয়ংকর। এডিস মশা কামড় দিতে চেহারার দিকে তাকাবে না। সুযোগ পেলে সবাইকে কামড়াবে, রক্ত খাবে। সবাইকে সচেতন হতে হবে, সাবধান থাকতে হবে। আমাদের পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত রাখতে হবে।’
সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকা সিটিতে প্রতিদিনই ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। ডেঙ্গু এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি। ডেঙ্গু মোকাবিলা কর্মসূচিটি আমার সিনসিয়ারলি নিয়েছি। দেশের স্বার্থে ও দলের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় আমরা এ কাজটি করব। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী জানতে চেয়েছেন কয়টা ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। আমরা দেখতে চাই ঢাকার কয়টা ওয়ার্ডে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি একদিন করলে হবে না। প্রতিদিনই করতে হবে। যেসব ওয়ার্ডে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেননি তারা শুরু করবেন, যারা করেছেন তারা এই পরিচ্ছন্নতা অভিযান অব্যাহত রাখবেন।
মিডিয়া না থাকলে সরকার ডেঙ্গুকে গুজব বলে চালিয়ে দিত-বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মিডিয়া না থাকলে বিএনপির মতো বড় দল খুঁজে পাওয়া যেত না। তারা আন্দোলন নির্বাচন সবক্ষেত্রেই ব্যর্থ, তারা ডেঙ্গু প্রতিরোধে নেই, তারা বন্যার্তদের পাশেও দাঁড়ায়নি। তারা শুধু মুখে মুখে দায়িত্ব পালন করে। তাদের আবাসিক প্রতিনিধি বসে বসে সাংবাদিক সম্মেলন করে। এ জন্য মিডিয়া না থাকলে তাদের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যেত না।
সভায় আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম ও এনামুল হক শামীম, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আফজাল হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কামরুল ইসলাম ও এস এম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, সংসদ সদস্য হাজী সেলিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।