হবিগঞ্জের চুনারুঘাট ও ময়মনসিংহে দুই পৃথক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছেন।
গতকাল রবিবার (৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার ডেউয়াতলী কালিনগর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ‘ডাকাতদলের’ এবং একই রাত সাড়ে ১২টার দিকে ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরপুলিয়ামারী এলাকায় গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে ‘মাদক বিক্রেতাদের’ সঙ্গে এই ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে নিহত ব্যক্তির নাম সোলেমান মিয়া (৩০)। তিনি মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া এলাকার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, সোলেমান আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্য।
আর, ময়মনসিংহে নিহত ব্যক্তি নাম জনি মিয়া। গোয়েন্দা পুলিশের দাবি তিনি মাদক বিক্রেতা।
হবিগঞ্জের চুনারুঘাট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল আমিনের ভাষ্যমতে, রবিবার রাতে উল্লেখিত এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছিল একদল ডাকাত-গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় পুলিশের একটি দল। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ডাকাতদলের গোলাগুলি হয়। একপর্যায়ে এক ডাকাতসহ তিন পুলিশ সদস্য আহত হন। ভোর সোয়া ৫টায় গুলিবিদ্ধ ডাকাতকে হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাকাত সোলেমানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত পুলিশ সদস্যরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এর আগে রবিবার (৪ আগস্ট) গভীর রাতে চুনারুঘাট উপজেলার দেউন্দি চা বাগানের ডাক্তার বাংলোয় ডাকাতির ঘটনা ঘটে। ডাকাতদল ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রথমে দারোয়ান রবি মুণ্ডা ও সন্তোষকে জিম্মি করে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলে। পরে বাংলোয় থাকা ডা. অনিমেষ গুলদার (৪৫), স্ত্রী সরমিস্ট কর্মকার ও চার বছরের ছেলে অরিত্র গুলদারের মাথায় পিস্তল টেকিয়ে পাঁচ লাখ টাকার মালামাল লুট করে।
খবর পেয়ে সিলেট বিভাগের ডিআইজি কামরুল ইসলাম, এডিশনাল ডিআইজি জয়দেব কুমার ভদ্র, হবিগঞ্জ পুলিশ সুপার মোহাম্মদ উল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম রাজু আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মইন উদ্দিন ইকবাল, চুনারুঘাট-মাধবপুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দিন এবং চুনারুঘাট থানার ওসি নাজমুল হক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
অপরদিকে, ময়মনসিংহ জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দের ভাষ্যমতে, ময়মনসিংহ সদর উপজেলার চরপুলিয়ামারী এলাকায় মাদকবিক্রেতা ও ছিনতাইকারীরা অবস্থান করছে- এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই সেখানে অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। এ সময় ডিবির উপস্থিতি টের পেয়ে তারা গুলি চালায়। ডিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালান। একপর্যায়ে পালিয়ে যান মাদক বিক্রেতারা। পরে, ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জনি নামের এক মাদক কারবারিকে উদ্ধার করা হয়।
ওসি বলেন, ‘ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত ডিবির দুই সদস্য আকরাম হোসেন ও মতিউর রহমানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।’
নিহত জনির বিরুদ্ধে ১১টির মতো মামলা রয়েছে বলে উল্লেখ করেন ওসি।