কারওয়ান বাজারকেন্দ্রিক চাঁদাবাজদের হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, চাঁদাবাজি-মাস্তানি করলে কঠোর শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। আমরা এখানে কোনো ধরনের চাঁদাবাজি, মাস্তানি করতে দেব না। আসন্ন ঈদ উপলক্ষে আমরা সবাই সজাগ থাকব। কারওয়ান বাজারে যেন ভালো পরিবেশ বজায় থাকে এ আহ্বান রাখব ব্যবসায়ীদের প্রতি। যখনই কোনো চাঁদাবাজি হবে পুলিশকে জানাবেন।
আজ রবিবার দুপুরে পলিথিন-বিরোধী সচেতনতামূলকসভা এবং পরিচ্ছন্নতা অভিযানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার আগে প্রতি মাসে কারওয়ান বাজারে একটি করে খুন হতো। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরে সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হয়েছে। চাঁদাবাজিও বন্ধ ছিল। সম্প্রতি নতুন করে বাজারকেন্দ্রিক চাঁদাবাজির খবর পাওয়া যাচ্ছে। এটা হতে দেওয়া হবে না।
তিনি বলেন, কারওয়ান বাজার এখন আগের চেয়ে ভালো অবস্থায় আছে। সেই অবস্থা আমরা ধরে রাখতে সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাব। তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হবে। যে চাঁদাবাজি করবে তার বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই কথাটা বলার একটি কারণ আছে। গত দুই দিনে আমার বাসায় নানা ধরনের অভিযোগ আসছে। সেই অভিযোগের সূত্র ধরেই আমি এটা বলছি।
তিনি আরো বলেন, বুড়িগঙ্গা নদীতে ৬-৭ ফুট শুধু পলিথিনের গার্বেজ। ক্যানসার, কিডনি রোগ বাড়ছে তার কারণ এই পলিথিন। সাগরের মাছ মারা যাচ্ছে পলিথিনের কারণে। তিমি মাছ যখন ধরা পড়ে কিংবা মারা গিয়ে উপকূলে চলে আসে তখন দেখা যায় পেটে পলিথিন আর পলিথিন। ঢাকা শহরের মূল সমস্যা আমরা গার্বেজ অপসারণ করতে পারছি না, ড্রেনগুলো বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়, এর কারণ পলিথিন।
বর্তমান সরকার পলিথিন ব্যবহার বন্ধে কঠোর আইন করেছে, সেই আইন বাস্তবায়নেও আমরা এখন কঠোর হবো বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।