এযাবৎকালের সর্বোচ্চ মূল্য ৭০ হাজার ৫০১ রুপিতে বিক্রি হয়েছে এক কেজি চা। গত মঙ্গলবার আসাম রাজ্যের রাজধানী গুয়াহাটির চা নিলাম বাজারে এক কেজি মনোহারী স্পেশালিটি চা বিক্রি হয়েছিল ৫০ হাজার রুপি মূল্যে। বুধবারই সেই রেকর্ড ভেঙে দিল আসামের ডিব্রুগড় জেলায় হাতে তৈরি ‘মাইজান গোল্ডেন টিপস চা’।
মাইজান গোল্ডেন টিপস চায়ের রং কাঁচা সোনার মতো। এটি সম্পূর্ণ হাতে তৈরি, কোনো মেশিনের ব্যবহার হয়নি এতে। এই চায়ের বাগান রয়েছে আসামের শিবসাগর ও ডিব্রুগড় জেলায়। চা বিক্রি করেছিল আসাম কোম্পানি। এবার মাইজান গোল্ডেন টিপস চা উৎপাদিত হয়েছে মাত্র ২ কেজি। আর তা এক বেলজিয়ামের ক্রেতার জন্য কিনে নেয় গুয়াহাটির মুন্দ্রা টি কোম্পানি।
এর আগে গত মঙ্গলবার গুয়াহাটিতে আসামের মনোহারী সোনালি স্পেশালিটি চা প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৫০ হাজার রুপিতে। চা-গাছের কুঁড়ি দিয়ে উৎপাদিত হয় মনোহারী চা। মে থেকে জুন মাসে ভোরবেলা কুঁড়ি তোলা হয়। অপ্রস্ফুটিত কুঁড়িগুলোকে বিশেষ পদ্ধতিতে স্প্রিং ব্লেন্ডিংয়ের মাধ্যমে এই চা তৈরি করা হয়। এই চা উৎপাদনে প্রচুর সময় ও শ্রম লাগে বলে সচরাচর তা উৎপাদন করা হয় না। মনোহারী চা-বাগানে এ বছর মনোহারী চা উৎপাদিত হয়েছে মাত্র ৫ কেজি।
গুয়াহাটির চা নিলাম কেন্দ্রের সম্পাদক দীনেশ বিহানি বলেছেন, বুধবার এই নিলাম বাজারে এই প্রথম ৭০ হাজার ৫০১ রুপি কেজিতে বিক্রি হলো মাইজান গোল্ডেন চা। এটাই গুয়াহাটির চায়ের নিলাম বাজারে এযাবৎকালের সর্বোচ্চ মূল্যে বিক্রি হওয়া চা। সৌরভ টি ট্রেডার্সের মাঞ্জিলাল মহেশ্বরী নিলাম থেকে দুই কেজি মনোহারী চা কেনেন। এই চা অবশ্য ‘অর্থোডক্স’ চা বলে পরিচিত।
গত বছর এই চা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ৩৯ হাজার রুপি কেজিতে। তবে গতবারের এই রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল অরুণাচল প্রদেশের ‘গোল্ডেন নিডল চা’। এটি উৎপাদিত হয়েছিল ডনি পোলো চা–বাগানে। সেই চা প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছিল ৪০ হাজার রুপিতে।