গত বুধবার দেশটির রায়গঞ্জের গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতে এক বধূকে মারধর করে তিন তালাক দেন তার স্বামী। পরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নুরবানুর (২৫) ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
গত মঙ্গলবারই দেশের সংসদে পাশ হয়েছে তিন তালাক বিল। তার ঠিক একদিনের মধ্যেই এই ঘটনা ঘটল। ধারণা করা হচ্ছে, ওই গৃহবধূর স্বামী তিন তালাক বলাতেই অভিমান করে আত্মহত্যা করেছেন। তবে খুনের সন্দেহও গাঢ় হচ্ছে। কারণ বুধবারই নাকি তিন তালাকের হুমকি পেয়ে কাতর হয়ে ওই গৃহবধূ ফোন করেছিলেন তারা মাকে। তাকে মেরে ফেলা হতে পারে এমনই আশঙ্কার কথা জানিয়েছিলেন।
ভারতীয় স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, দক্ষিণ বিষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা মোহাম্মদ সুন্দরলাল। তাস (প্লেয়িং কার্ড) খেলা নিয়ে প্রায় দিনই স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া লেগে থাকতো। স্ত্রী তাস খেলার বাধা দেওয়ায় বুধবার রাতে স্ত্রীকে মারধর করে সুন্দরলাল। পাশাপাশি গ্রামবাসীদের সামনেই স্ত্রীকে তিন তালাক দেন। পরে বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পাশের একটি গাছ থেকে তার স্ত্রী নুরবানুর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
এদিকে প্রতিবেশীদের অভিযোগ, মারধরের পর শ্বাসরোধ করে নুরবানুকে খুন করে সুন্দরলাল ও তার বাবা-মা। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ওই বধূর স্বামী শ্বশুর ও শাশুড়ি।
স্থানীয় পুলিশ জানায়, নুরকে হত্যা করা হয়েছে, নাকি সর্বসমক্ষে স্বামী তিন তালাক দেওয়ায় সে অভিমানে আত্মঘাতী হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আমরা দু’রকম অভিযোগই পেয়েছি।