পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন এবং কাজ ও সামাজিক নিরাপত্তার অভাবসহ বিভিন্ন কারণে গ্রামের দরিদ্র জনগোষ্ঠী শহরে চলে আসে। আমাদের উচিত তাদের উন্নততর জীবনযাপনে সহায়তা করা। এজন্য নগর কর্তৃপক্ষের পর্যাপ্ত সম্পদ ও সক্ষমতা থাকা দরকার। সেই লক্ষ্যেই আমাদের সরকার কাজ করছে।
আজ মঙ্গলবার সকালে নগরের দরিদ্রদের অন্তর্ভুক্তিমূলক টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে আঞ্চলিক কারিগরি সহযোগিতা প্রকল্পের প্রথম জাতীয় পর্যালোচনা কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর মহাখালির ব্র্যাক সেন্টারে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ও ব্র্যাকের আয়োজনে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব জুয়েনা আজিজ, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়ের সচিব আব্দুল্লাহ আল মহসিন চৌধুরী, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফরিদা নাসরিন, ঢাকা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক ইঞ্জিনিয়ার তাকসিম এ খান।
কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের সিনিয়র ক্লাইমেট চেঞ্জ স্পেশালিস্ট অর্ঘ্য সিংহ রায়, আরবান ডেভেলপমেন্ট স্পেশালিস্ট শিঞ্জিনি মেহতা, ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট-এর প্রতিনিধি ডেভিড ডডম্যানসহ বিভিন্ন পৌরসভার মেয়র ও কর্মকর্তবৃন্দ। অনুষ্ঠানপ্রধান হিসেবে এর সঞ্চালনা করেন ব্র্যাকের পরিচালক কে এ এম মোর্শেদ।
এশীয় উন্নয় ব্যাংকের সিনিয়র ক্লাইমেট চেঞ্জ স্পেশালিস্ট অর্ঘ্য সিংহ রায় বলেন, এশিয়ার তিনটি জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ বাংলাদেশ, ইন্দোনেশিয়া ও ফিলিপাইনের শহরাঞ্চলের দরিদ্রদের উন্নয়নের লক্ষ্যে এডিবি এই প্রকল্পটি হাতে নিয়েছে।
এই কর্মশালায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে কতগুলো সুপারিশ তুলে ধরা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে জাতীয় গৃহায়ণ নীতিমালা পুনঃবাস্তবায়ন, নগরের দরিদ্রদের স্বল্পব্যয়ে গৃহায়নের জন্য জাতীয় পর্যায়ে বড় পরিকল্পনা গ্রহণ, নগরের দরিদ্রদের গৃহ নির্মাণে অর্থায়নের ব্যবস্থা করা এবং এই জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ।